বিবিডেস্ক: কয়েক মাস ধরেই চলছিল প্রতীক্ষা। শুক্রবার থেকে টানটান উত্তেজনায় ছিলেন ভারতবাসী। তবে গত শুক্রবার রাতের ‘দু:সংবাদ’ যেন এক লহমায় বদলে দেয় পরিস্থিতি। চাঁদের মাটিতে অবতরণের আগেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয় ওই চন্দ্রযানের ল্যান্ডারটির। কিন্তু রবিবার খুশির খবর শোনায় ইসরো। প্রেক্ষাপট ভিন্ন হলেও ধৈর্য্যের ফসল যে সাফল্য, সে কথাই বলছেন বিনিয়োগ বিশেষজ্ঞরা।
রবিবার ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো প্রধান কে সিভান ঘোষণা করেন, মহাকাশ সংস্থা চাঁদের মাটিতে চন্দ্রযান ২-এর ল্যান্ডার ‘বিক্রম’-এর অবস্থান খুঁজে পেয়েছে।
ইসরো প্রধান বলেন, “আমরা চন্দ্রের পৃষ্ঠে বিক্রম ল্যান্ডারের অবস্থান খুঁজে পেয়েছি এবং অরবিটার ওই ল্যান্ডারের থার্মাল ইমেজ পেয়েছে। তবে এখনও কোনো যোগাযোগ হয়নি। আমরা যোগাযোগের চেষ্টা করছি। শীঘ্রই তা জানানো হবে”।
একই সঙ্গে ইসরো প্রধান জানান, ছবি মিললেও বিক্রমের সঙ্গে বেতার যোগাযোগ এখনও বিচ্ছিন্ন। কিন্তু ছবি থেকে বোঝা যাচ্ছে, বিক্রম অক্ষত অবস্থায় রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার রাতে চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণের সময় মাত্র ২.১ কিমি দূরেই ল্যান্ডারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। কিন্তু অরবিটারটি সম্পূর্ণ ভাবে সক্রিয় রয়েছে বলে জানায় ইসরো। সেই অরবিটারের পাঠানো থার্মাল ইমেজ থেকেই আশাবাদী বিজ্ঞানীরা। তাঁরা আশাপ্রকাশ করে জানিয়েছেন, খুব শীঘ্রই বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন সম্ভব হতে পারে।
অন্য দিকে, শেয়ার মার্কেটের বিশেষজ্ঞদের কথাতেও ঘুরেফিরে আসছে চন্দ্রযান ২-এর প্রসঙ্গ। সপ্তাহ দুয়েক আগে এ দেশের শেয়ার মার্কেট মুখ তুলে দাঁড়ালেও গত সপ্তাহে ফের ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু একাধিক সুদূরপ্রসারী বিষয়ের উপর নির্ভর করে বিনিয়োগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন ধৈর্য্য ধরতে।
পরামর্শদাতা সংস্থা ‘আই থটে’র সহ-প্রতিষ্ঠাতা শ্যাম শেখর টুইটারে লিখেছেন, “অর্থনীতি এবং স্টক মার্কেটের এই অবস্থায় চন্দ্রযান ২ থেকে শিক্ষা নেওয়া যেতে পারে। উভয় ক্ষেত্রে আমরা কী ভাবে প্রতিক্রিয়া দেখালাম তার মধ্যে পার্থক্য করুন। যেন মনে হচ্ছিল জোর করে কিছু করা দরকার। আমরা কেমন একটা জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলাম। এবং তার পরে, আমরা এটার সমাধানের আশা করতে শুরু করি। তবে আমাদের নিজস্ব চিন্তায় সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার। আমাদের যা করা দরকার, সেটাই করুন”।