নয়াদিল্লি : ন্যাশনাল পেমশন স্কিমের (এনপিএস) টাকা খাটবে শেয়ার বাজারে। তাই অবসরের পর জমা টাকার পুরোটাই ফেরত পাবেন কিনা তা নিয়ে শঙ্কায় ভুগছেন দেশের শ্রমিক-কর্মচারীদের একটা বড় অংশ। তাঁদের সেই শঙ্কা বুঝতে পেরেই আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর জরুরি বৈঠক ডাকেছে কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রক।
কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি, বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি ছাড়াও নয়াদিল্লির শ্রমশক্তি ভবনে এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন শ্রমিক সংগঠনগুলির সর্বভারতীয় নেতৃত্ব। এমপ্লয়িজ পেনশন স্কিমের (ইপিএস) বদলে ন্যাশানাল পেনশন স্কিম বেছে নিতে কেন তাঁদের আপত্তি রয়েছে তা বুঝতে চাইছেন কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী সন্তোষকুমার গঙ্গওয়ার।
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রক সিদ্ধান্ত নেয়, ১৯৫২ সালের ‘এমপ্লিয়জ প্রভিডেন্ট ফান্ডস অ্যান্ড মিসলেনিয়াস প্রভিশনস (ইপিএফ অ্যান্ড এমপি) অ্যাক্ট’-র সংশোধন করা হবে। ওই সংশোধনী বিলের একটি খসড়া প্রস্তাবও তৈরি হয়েছে। এই বিলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল শ্রমিককে ইপিএসের পরিবর্তে এনপিএস বেছে নেওয়ার সুযোগ তৈরি করে দেওয়া। যদিও খসড়া প্রস্তাবে পুরো বিষয়টাই ঐচ্ছিক রাখা হয়েছে।
কিন্তু অশঙ্কার বিষয় হল, পেনশন ফান্ড হিসাবে এনপিএসকে বেছে নিলে, গ্রাহক পেনশন খাতে কত টাকা পাবেন তা নির্ভর করবে, তিনি কোন স্কিম বেছেছেন তার উপর। সেই স্কিমের শেয়ার বাজার দরের উপর নির্ভর করবে গ্রাহকের পেশন মূল্য।
ইপিএসের ক্ষেত্রে যেখানে নির্দিষ্ট অঙ্ক মেনে পেশন মেলে, সেখানে এনপিএস-এর সবটাই নির্ভর করছে শেয়ার বাজারের উপর।
ইপিএসের ক্ষেত্রে প্রতি মাসের ১০ তারিখের মধ্যে ইপিএফের টাকা পড়েছে কিনা তার উপর নজরদারি চালায় কর্মচারী ভবিষ্যনিধি সংগঠন। কিন্তু ন্যাশানাল পেনশন স্কিমে সেই সুযোগ থাকছে না।
আরও পড়ুন : মিউচুয়াল ফান্ড না কি পিপিএফ, কোথায় বিনিয়োগ বেশি লাভদায়ক?