২০২৫ সালের মধ্যে ৬০ কোটি মোবাইল ফোন রফতানি করবে ভারত!

বিবিডেস্ক: ২০১৪ সালে মাত্র দু’টি মোবাইল ফোন তৈরির ইউনিট ছিল এ দেশে। পাঁচ বছরের অন্তরে ২০১৯ সালের পরিসংখ্যান বলছে, এ মুহূর্তে ভারতে মোবাইল ফোন এবং আনুষঙ্গিক সরঞ্জাম তৈরির ইউনিটের সংখ্যা ২৪৮টি। বর্তমানে দেশীয় বাজারে বিক্রি হওয়া মোট মোবাইলের ৯৫ শতাংশই উৎপাদন হয় এ দেশেই। কী ভাবে সম্ভব হল এই বিপুল পরিবর্তন?

বিশ্লেষকদের মতে, এর অন্যতম কৃতিত্ব দিতে হয় “মেক ইন ইন্ডিয়া”-কে। বাস্তবিক ভাবে এ মুহূর্তে বিশ্বে মোবাইল উৎপাদনকারী দেশের তালিকায় দ্বিতীয় স্থান দখল করে নিয়েছে ভারত। যথারীতি প্রথম স্থানটির দখলদার চিন।

ইন্ডিয়া সেলুলার অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স অ্যাসোসিয়েশনের (আইসিইএ) চেয়ারম্যান পঙ্কজ মহিন্দরু সংবাদ সংস্থা আইএএনএসকে বলেছেন, “গত চার বছরে মোবাইল ফোন এবং সরঞ্জাম উৎপাদনে ভারত অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে, বর্তমানে দেশীয় বাজারের চাহিদার ৯৫ শতাংশের বেশি জোগান দিচ্ছে ভারতীয় ইউনিটগুলি”।

একই সঙ্গে তিনি জানান, “বর্তমানে যেমন দেশীয় বাজারের চাহিদার প্রায় পুরোটাই আমরা পূরণ করতে পারছি, সেই ধারা অব্যাহত রেখে আমরা ২০২৫ সালের মধ্যে ৭.৭০০০০ কোটি টাকার ভারতে তৈরি মোবাইল ফোন বিদেশের বাজারেও রফতানিতে অংশ নেব”।

জানা গিয়েছে, “মেক ইন ইন্ডিয়া” এবং “ডিজিটাল ইন্ডিয়া” প্রকল্পগুলিতে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়ার কারণে, উত্তরপ্রদেশ গত কয়েক বছরে দেশে মোবাইল প্রস্তুতির নতুন কেন্দ্র হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে।

২০১৮ সালের জুলাই মাসে নয়ডায় বিশ্বের বৃহত্তম মোবাইল তৈরির ইউনিটটি তৈরি করেছে স্যামসুং। ২০২০ সালের মধ্যে ইউনিটের উৎপাদন হার দ্বিগুণ করার লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে সংস্থা।

তবে শুধু স্যামসুং নয়, একাধিক চিনা মোবইল নির্মাতা সংস্থাগুলি নিজেদের ব্র্যান্ডের মোবাইল এখন ভারতেই তৈরি করছে। যাদের মধ্যে রয়েছে জাওমি, অপো এবং ভিভো। অন্য দিকে অ্যাপলও নিজেদের আইফোন ৭ তৈরি করছে বেঙ্গালুরুতে। বিস্তারিত পড়ন এখানে ক্লিক করে

একটি পরিসংখ্যানে প্রকাশ, গত ২০১৪-১৫ সালে যেখানে এ দেশে তৈরি মোবাইলের সংখ্যা ছিল ৬ কোটি, সেখানে গত ২০১৭-১৮ আর্থিক বছরে সেই সংখ্যাই বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২.৫ কোটি।

অ্যাসোচেম-পিডব্লিউসি-র যৌথ সমীক্ষা অনুযায়ী জানা গিয়েছে, এ ভাবে চলতে থাকলে আগামী ২০২২ সালে ভারতে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা ঠেকবে ৮৫.৯ কোটিতে। অন্য দিকে অন্য একটি পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৫ সালের মধ্যে ৬০ কোটি মোবাইল বিদেশে রফতানি করবে ভারত।


Discover more from banglabiz

Subscribe to get the latest posts sent to your email.

বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখেন ১০ থেকে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাংবাদিকরা। সমস্ত তথ্য যাচাই করে তবে বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Discover more from banglabiz

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading