সম্প্রতি ব্যয়বহুল হয়ে উঠেছে ট্যারিফ প্ল্যান। এমন পরিস্থিতি থেকে রেহাই পাচ্ছেন না সারা দেশে মোবাইল গ্রাহকরা। তিনটি বড় টেলিকম কোম্পানির শুল্ক বাড়ানোর পর, সরকার হস্তক্ষেপ করতে পারে বলে জল্পনা চলছিল। তবে এখন এটা পরিষ্কার হয়ে গেছে যে, সরকারের এতে হস্তক্ষেপ করার কোনো ইচ্ছা নেই।
সরকারি কর্মকর্তাদের মন্তব্য উদ্ধৃতি ইকোনমিকস টাইমস – এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুল্ক বৃদ্ধির বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার বা টেলিকম নিয়ন্ত্রক সংস্থা ট্রাই (TRAI)-এর হস্তক্ষেপ করার কোনো পরিকল্পনা নেই। তাদের মতে, ভারতীয় সংস্থাগুলির মোবাইল ট্যারিফ এখনও বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের তুলনায় কম। এক সরকারি কর্তা বলেন, টেলিকম কোম্পানিগুলো যাতে পরিষেবার মান বাড়ায়, সেদিকে জোর দেওয়া হচ্ছে।
এই সপ্তাহ থেকে, তিনটি বড় টেলিকম সংস্থা রিলায়েন্স জিও, ভারতী এয়ারটেল এবং ভোডাফোন আইডিয়ার প্ল্যানগুলি আগের তুলনায় ব্যয়বহুল হয়ে উঠেছে। কোম্পানিগুলো মোবাইলের শুল্ক ১১ থেকে ২৫ শতাংশ বাড়িয়েছে। প্রথমত, রিলায়েন্স জিও শুল্ক বাড়ানোর ঘোষণা করেছিল। এরপর ভারতী এয়ারটেল এবং ভোডাফোন আইডিয়াও শুল্ক বাড়ানোর ঘোষণা করেছে।
টেলিকম কোম্পানিগুলোর শুল্ক বৃদ্ধির পর গ্রাহকদের পকেটের ওপর চাপ বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিশ্লেষকরা মনে করেন, শুল্ক বৃদ্ধির ফলে শহর ও গ্রামীণ উভয় গ্রাহকের ব্যয় বাড়বে। শহুরে গ্রাহকদের ক্ষেত্রে, টেলিকম পরিষেবাগুলিতে জনগণের ব্যয় গত অর্থ বছরে তাদের মোট ব্যয়ের ২.৭ শতাংশের মতো ছিল, যা চলতি অর্থবছরে ২.৮ শতাংশে উন্নীত হতে পারে। একই সময়ে, গ্রামীণ গ্রাহকদের মোট ব্যয়ের মধ্যে টেলিকম পরিষেবার ব্যয়ের অংশ ৪.৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ৪.৭ শতাংশ হতে পারে।
গ্রাহকদের ওপর অতিরিক্ত চাপের কারণে সরকার মোবাইল কোম্পানিগুলোর ওপর কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করবে বলে আশা করা হচ্ছিল। তবে এবার সেই আশা শেষ হয়েছে। কর্মকর্তাদের মতে, ভারতের টেলিকম সেক্টরে এখনও যথেষ্ট প্রতিযোগিতা রয়েছে। তাছাড়া পরিস্থিতি এখনও কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপের জন্য যথেষ্ট গুরুতর নয়। ফলে গ্রাহকদের কিছুটা বোঝা বহন করতে হবে, তবে এই বৃদ্ধি ৩ বছর পরে হয়েছে।