নিষিদ্ধ খুদ রফতানি
দেশে জোগানে টান পড়া ও দাম বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কায় বাসমতী ও সিদ্ধ বাদে বাকি সব চাল রফতানিতে (Export) আগেই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কেন্দ্র। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের পর ২৪ ঘণ্টাও কাটল না। এ বার খুদ (Rice fragment) অর্থাৎ ভাঙা চাল রফতানিতেও নিষেধাজ্ঞা জারি করল কেন্দ্রীয় খাদ্য মন্ত্রক (food ministry)।
বাজারে চালের দাম ঊর্ধ্বমুখী। দাম বাড়ছে খুদেরও। কেন্দ্রের আশঙ্কা, বেশ কেয়কটি রাজ্যে অনাবৃষ্টির জেরে ধানের চাষ কম হওয়ায় খরিফ মরসুমে উৎপাদন ধাক্কা খেতে পারে। খাদ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, খরিফ মরসুমে উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ-সহ চারটি প্রধান ধান উৎপাদনকারী রাজ্যে অনাবৃষ্টির জেরে চালের উৎপাদন কমবে।
কতটা কমবে ফলন
তবে এই ফলন কতটা কম হবে তা নিয়ে বিভ্রান্তি তুঙ্গে। শুক্রবার সকালে খাদ্যসচিব সুধাংশু পাণ্ডে বলেন, এর ফলে এক কোটি থেকে এক কোটি ২০ লক্ষ টন ধান উৎপাদন কম হওয়ার আশঙ্কা।
খাদ্যসচিবের ‘আশঙ্কা’র কয়েক ঘণ্টা পরে সন্ধ্যায় খাদ্য মন্ত্রকের ইঙ্গিত ৪০-৫০ লক্ষ থেকে ৬০-৭০ লক্ষ টন উৎপাদন কম হবে। তাই বাসমতী ও সিদ্ধ চাল বাদে বাকি চালে ২০ শতাংশ রফতানি শুল্ক বসানো হয়েছে। এ বার খুদ (Rice fragment) রফতানিও বন্ধ করা হল। কেন্দ্রের আশা, এতে দেশের বাজারে চালের দাম কমবে।
খুদ কেনে কোন দেশ
আফ্রিকার কিছু গরিব দেশ ভারত থেকে খুদ (Rice fragment) কেনে। বৃহত্তম ক্রেতা চিন। বিশ্ব বাজারে চাল রফতানির ৪২% যায় এ দেশ থেকে। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, এই পদক্ষেপে চড়বে সেখানে খাদ্যের দাম। যদিও কেন্দ্রের বক্তব্য, দেশে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং খাদ্য সুরক্ষা আইনে দরিদ্রদের সস্তায় শস্য জোগানোই সরকারের প্রধান লক্ষ্য।