বিবি ডেস্ক: জিনিসপত্রের দাম ঊর্ধ্বমুখী। সীমীত আয়ে প্রতিদিনের খরচ মেটানো যথেষ্ট নয়। এমন পরিস্থিতিতে নিজের স্বপ্ন এবং আকাঙ্ক্ষাগুলি পূরণ করার জন্য বিকল্প আয়ের দরকার। পাশাপাশি, রয়েছে অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি মোকাবিলার রসদও।
এখনকার সময়ে শুধুমাত্র একটি আয়ের উৎসের উপর নির্ভর করলে সংসারজীবন অতিবাহন সম্ভব হয় না। বিশেষত যাঁরা ছোটো অংকের মাসিক বেতনের উপর নির্ভরশীল বা ছোটো ব্যবসায় জড়িত।
ফলে তাঁদের জন্য অতিরিক্ত আয়ের উৎস বিবেচনা করা এবং বেছে নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ। যা আপনাকে একটি শান্তিপূর্ণ জীবনযাপন করার আত্মবিশ্বাস জোগাবে এবং উল্টো দিকে, আপনার এবং পরিবারের জন্য বিভিন্ন আর্থিক লক্ষ্য পূরণে সাহায্য করবে।
বিকল্প আয়ের ৫টি টিপস
১. অনলাইনে ব্যবসা
বর্তমানে আয়ের একটি বিকল্প উৎস অনলাইন প্ল্যাটফর্ম। এই প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে ক্রেতার চাহিদা মতো পণ্য পৌঁছে দিতে পারেন তাঁর বাড়িতে। এ ক্ষেত্রে বৃহৎ এবং পরিচিত অনলাইন প্ল্যাটফর্মের অনুমোদনও পাওয়া যায়। নিজের নিয়মিত কাজের সময় বাদে ওই সব সংস্থার হয়ে কাজ করে বাড়তি আয়ের পথ দেখা যেতে পারে।
২. স্টক মার্কেটে বিনিয়োগ
হাতে সামান্য কিছু বাড়তি টাকা থাকলে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করতে পারেন। ছোটো ছোটো পরিমাণে বিনিয়োগ করা যায়। কোনো সংস্থার শেয়ার কিনে ধৈর্য্য ধরতে হবে। দাম বাড়লে বিক্রি করে লাভের টাকা তুলে নেওয়া সম্ভব। বিনিয়োগ করার আগে কোম্পানি এবং বিশেষ সেক্টরের বৃদ্ধির সম্ভাবনা বিশ্লেষণ করা গুরুত্বপূর্ণ।
৩. ফ্রিল্যান্স কাজ
এই ধরনের কাজে আপনাকে নিয়মিত অথবা নির্দিষ্ট সময় দিতে লাগবে না। কেউ সপ্তাহান্তে ফ্রিল্যান্স কাজ নিতে পারেন। অথবা প্রতিদিনের কাজের ফাঁকেও এই কাজটি করতে পারেন। মাথায় রাখবেন, আপনার নিজের ক্ষেত্র বা শখের সঙ্গে সম্পর্কিত হলে এই কাজে আপনি বাড়তি উৎসাহ পাবেন। সে ক্ষেত্রে নিজের যোগ্যতা এবং অভিজ্ঞতা অনুযায়ী কোনো ফ্রিল্যান্স কাজ বেছে নিতে পারেন।
৪. ব্লগিং, প্রুফ রিডিং এবং অনুলিখন
ব্লগারদের চাহিদা বরাবরই। এখন সেটা আরও বেড়েছে। করোনা সংক্রমণের জন্য শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে বিপণন অথবা বিজ্ঞাপনের কাজ চালিয়ে যাওয়ার বড়োসড়ো মাধ্যম। ব্লগিংয়ের পাশাপাশি প্রুফ রিডিংয়ের কাজও সমানে চালিয়ে যেতে পারেন। একই সঙ্গে অনুলিখনের কাজও। অনলাইনে এই কাজগুলি করার পর্যাপ্ত সুযোগ রয়েছে।
৫. ভাড়া দিয়ে আয়
এটা অবশ্য সবার জন্য প্রযোজ্য নয়। যাঁদের ক্ষেত্রে পরিবারের ব্যবহারের বাইরেও বাড়িতে অতিরিক্ত ঘর রয়েছে, তাঁরা এই বিকল্প পথ ধরতে পারেন। ভাড়া দিতে পারেন, পেয়িং গেস্ট রাখতে পারেন। এখন হোম স্টে-র চাহিদা বাড়ছে। স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে এই কাজ করা যেতে পারে।
আরও পড়ুন: এই বিমা পলিসিতে বিনিয়োগ করলে মোটা অংকের রিটার্ন, দুর্দান্ত সব সুবিধা