মাছ উৎপাদনে রেকর্ড! ১২৩টি দেশে রফতানি করে আয় ৫৭ হাজার কোটি টাকার বেশি

নয়াদিল্লি: মাছ উৎপাদনে রেকর্ড! ২০২১-২২ সালে মাছ উৎপাদন সর্বোচ্চ। শনিবার মৎস্যমন্ত্রক জানাল, শেষ বছরের ভারতে ১৬১.৮৭ লক্ষ টন মাছ উৎপাদন হয়েছে। যেখানে আগের বছর ছিল ১৪১.৬৪ লক্ষ টন।

বর্তমানে বিশ্বের ১২৩টি দেশ মাছ রফতানি করে ভারত। উৎপাদনবৃদ্ধির সঙ্গে রফতানির পরিমাণও পৌঁছেছে সর্বকালের সর্বোচ্চ উচ্চতায়। এই সময়কালে ১৩.৬৪ লক্ষ টন মাছ রফতানি করেছে দেশ। যার মূল্য ৫৭ হাজার ৫৮৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে বেশিরভাগটাই এসেছে চিংড়ি রফতানির থেকে।

মাছ চাষিদের উৎসাহ দিতে বিভিন্ন প্রকল্প

বিবৃতিতে কেন্দ্র বলেছে, প্রধানমন্ত্রী মৎস্য সম্পদ যোজনা (PMMSY)-র অধীনে বিমা কভারেজের আওতায় সাহায্য পেয়েছেন ২২টি রাজ্য এবং ৭টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে ৩১.৪৭ লক্ষ কৃষক। অতিরিক্ত৬.৭৭ লক্ষ কৃষককে নিষেধাজ্ঞার সময় জীবিকা ও খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে।

মৎস্যমন্ত্রক বলেছে, মৎস্যজীবীদের জন্য মূলধন এবং স্বল্পমেয়াদী ঋণের প্রয়োজনীয়তা মেটাতে সাহায্য করেছে কেন্দ্র। সরকার মৎস্যজীবী, মৎস্য চাষি, স্বনির্ভর গোষ্ঠী (SHG), যৌথ দায়বদ্ধতা গোষ্ঠী, মহিলা গোষ্ঠী ইত্যাদিতে কিসান ক্রেডিট কার্ড (KCC)-এর সুবিধা বিস্তৃত করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে ২০২২ সালের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত, মোট ৬ লক্ষ ৩৫ হাজার ৭৮৩টি আবেদন জমা পড়েছিল। সেগুলির জন্য মোট ১ লক্ষ ৪ হাজার ১৭৯ লক্ষ টাকা মঞ্জুর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রক।

উৎপাদন বাড়াতে একাধিক উদ্যোগ

কেন্দ্রের লক্ষ্য অভ্যন্তরীণ মৎস্যসম্পদের সার্বিক উন্নয়ন। এর জন্য ২০টি সমন্বিত জলাধার উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। যেখানে ২০,৬২২টি কেজ স্থাপনের কাজ চলছে। এ ছাড়াও মাছ উৎপাদন বাড়াতে প্রযুক্তির অন্তর্ভুক্তি করা হচ্ছে। ৩ হাজার ১১৭টি আরএএস ইউনিট এবং ২ হাজার ৬৯৩টি বায়ো-ফ্লক ইউনিট কার্যকর করা হয়েছে। লবণাক্ত এবং ক্ষারীয় এলাকা উন্নয়ন উদ্যোগে প্রায় ১ হাজার ৬০০ হেক্টর এলাকা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ উন্নয়নের জন্যেও নেওয়া হয়েছে একাধিক উদ্যোগ। গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার ২৭৬টি জাহাজ অনুমোদন করা হয়েছে। সেগুলি ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করেছে। মাছ চাষিদের কাজে উন্নতমানের মৎস্যবীজ সরবরাহের জন্য ১০টি সামুদ্রিক হ্যাচারির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই সামুদ্রিক অঞ্চলে বসানোর জন্য ১ হাজার ৫৫৬টি কেজের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: এই বিমা পলিসিতে বিনিয়োগ করলে মোটা অংকের রিটার্ন, দুর্দান্ত সব সুবিধা

বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখেন ১০ থেকে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাংবাদিকরা। সমস্ত তথ্য যাচাই করে তবে বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.