১ ফেব্রুয়ারি অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ করবে কেন্দ্রীয় সরকার। বলে রাখা ভালো, এটি শুধুমাত্র একটি ‘ভোট অন অ্যাকাউন্ট’ বাজেট। পূর্ণাঙ্গ বার্ষিক নিয়মিত বাজেট নয়। পূর্ণাঙ্গ বাজেট ২০২৪ সালের এপ্রিল-মে মাসে সম্ভাব্য লোকসভা নির্বাচনের পরে পেশ করা হবে।
ভোটের বছরে, একটি পূর্ণ বাজেটের পরিবর্তে, সাময়িক তহবিল বরাদ্দের অনুমতি চাইতে পারে কেন্দ্র। ‘অন্তবর্তীকালীন বাজেট’-এর মাধ্যমে ‘ভোট অন অ্যাকাউন্ট’ পাস করার মাধ্যমেই সেটা সম্ভব। এই বরাদ্দ পরবর্তী সরকার গঠন না হওয়া পর্যন্ত প্রশাসনিক ব্যয় মেটাতে এবং সেই সঙ্গে নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলতে সাহায্য করবে।
অর্থমন্ত্রী নিজেই জানিয়েছেন, এই অন্তর্বর্তী বাজেটে তেমন কোনো চমকের প্রত্যাশা থাকছে না। তবে একটি শক্তিশালী অর্থনীতি এবং স্থিতিশীল কর ব্যবস্থার সমস্ত প্রয়োজনীয় উপাদান পরিবেশন করা হচ্ছে। ফিজিকাল এবং ডিজিটাল উভয় পরিকাঠামোতে বর্ধিত মূলধন ব্যয় কিন্তু রাজস্ব ঘাটতির প্রতি সতর্ক দৃষ্টি রেখে আসন্ন বাজেটে শীর্ষ অগ্রাধিকার হওয়া উচিত বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ভোটের বছরে এ ধরনের অন্তর্বর্তী বাজেট সরকারের জন্য একটি সুযোগ করে দেয়। শাসক দলের অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরা সহজ হয়। যে কারণে নারী, যুব, কৃষক এবং তফসিলি জাতি ও উপজাতিৃসহ দরিদ্রদের উপর ফোকাস করা হয়।
সম্প্রতি ভারতের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য দীর্ঘমেয়াদী দৃষ্টিভঙ্গির কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সামাজিক প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের সঙ্গে কথোপকথনে মোদী বলেন, “ভিক্ষিত ভারতের চারটি অমৃত স্তম্ভ হল ভারতের নারী শক্তি, যুবশক্তি, কৃষক এবং ভারতের দরিদ্র পরিবার।”
পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন অন্তর্বর্তী বাজেট প্রসঙ্গে বলেন, “১ ফেব্রুয়ারিতে কোনও বড় নতুন প্রকল্প ঘোষণা করার সম্ভাবনা কম। পরবর্তীতে ভারতীয় জনতা পার্টির নির্বাচনী ইশতেহারে সামাজিক প্রকল্পের ঘোষণা আশা করা যেতে পারে”।
আরও পড়ুন: বাড়ি এবং ব্যক্তিগত ঋণে খরচ বাড়ল, সুদের হার বাড়াল এই ৪টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক