আসন্ন অন্তর্বর্তী বাজেটে কৃষক এবং সামাজিক খাতের প্রকল্পগুলির জন্য আরও বেশি তহবিল বরাদ্দ করতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার। আয়কর এবং জিএসটি উভয়েরই মাসিক সংগ্রহের তথ্য থেকে তেমনই অনুমান বিশেষজ্ঞদের।
৩১ জানুয়ারি শুরু বাজেট অধিবেশন। পর দিন, ১ ফেব্রুয়ারি বাজেট পেশ করবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। তার কয়েক মাসের মধ্যেই লোকসভা ভোট। দ্বিতীয় মোদী সরকারের প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করার দিকেই মনোনিবেশ করবে মোদী সরকার।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সমাজের দরিদ্র অংশগুলির সম্মুখীন হওয়া সমস্যাগুলির উপর ফোকাস করতে পারে মোদী সরকার। বিশেষ করে গ্রামীণ অর্থনীতির দিকে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হতে পারে বলেই অনুমান।
সূত্রের মতে, চলতি অর্থবছরে আয়কর এবং কর্পোরেট কর থেকে সংগ্রহ বেশ আশাব্যঞ্জক। মোট প্রত্যক্ষ কর সংগ্রহ প্রায় ১ লক্ষ কোটি টাকা বাজেটের অনুমান ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সরকার এই অর্থবছরে প্রত্যক্ষ কর থেকে ১৮.২৩ লক্ষ কোটি টাকা সংগ্রহের বাজেট করেছিল। ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত, প্রাথমিক হিসাব বলছে, তা দাঁড়িয়েছে ১৪.৭০ লক্ষ কোটি টাকায়। যা বাজেট অনুমানের প্রায় ৮১ শতাংশ। অন্য দিকে, কেন্দ্রীয় জিএসটি রাজস্ব প্রায় ১০,০০০ কোটি টাকার বাজেট অনুমান ৮.১ লক্ষ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। অনুমান অনুসারে, এই অর্থবছরে আবগারি ও শুল্ক আদায়ে প্রায় ৪৯,০০০ কোটি টাকার ঘাটতি হবে।
সবমিলিয়ে কর আদায়ে এই ইতিবাচক তথ্য সরকারকে বেশ কিছু খাতে তহবিল বরাদ্দ বাড়াতে উৎসাহিত করতে পারে। বিশেষ করে, MGNREGA, গ্রামীণ রাস্তা, পিএম কিসান সম্মান নিধি, পিএম বিশ্বকর্মা যোজনার মতো সামাজিক খাতের প্রকল্পগুলির জন্য আরও বেশি তহবিল বরাদ্দ করার সুযোগ করে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: বাজেটে মিলতে পারে উপহার! পেনশনের সুযোগ বাড়তে পারে অসংগঠিত কর্মীদের