বিবি ডেস্ক: আশংকা ছিল। সেটাই সত্যি হল! উৎসবের মরশুমের শুরুতেই বড়ো ধাক্কা।
ফের রেপো রেট (repo rate) বাড়াল ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (RBI)। মূল্যবৃদ্ধি, আর্থিক মন্দার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতেই শুক্রবার রেপো রেট ৫০ বেসিস বাড়ানো হল। এর ফলে আরবিআইয়ের রেপো রেট বেড়ে ৫.৯০ শতাংশে পৌঁছল।
চলতি বছরের মে মাস থেকেই রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মুদ্রানীতি কমিটি (MPC) রেপো রেট বৃদ্ধি করছে। তার পর থেকে সবমিলিয়ে ১৯০ বিপিএস রেপো রেট বাড়াল আরবিআই।
রেপো রেট বলতে সহজ কথায় বোঝায়, যে সুদের হারে একটি দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক অন্য বাণিজ্যিক ব্যাঙ্ককে ঋণ দেয়। স্বাভাবিক ভাবেই আরবিআই যদি রেপো রেট কমায় তা হলে ব্যাঙ্কগুলি লাভ, অন্য দিকে রেপো রেট বাড়ার অর্থ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিকে দেওয়া অর্থের উপর ডিসকাউন্ট কমে যাওয়া।
সাধারণের উপর কী প্রভাব পড়বে
রেপো রেট বৃদ্ধির ব্যাঙ্কগুলির জন্য আরবিআই থেকে ঋণ নেওয়া আরও ব্যয়বহুল হয়ে উঠবে। ফলে গ্রাহকদের আরও চড়া সুদে ঋণ দেবে ব্যাঙ্কগুলি। যে কারণে সাধারণ মানুষের জন্য ইএমআই আরও ব্যয়বহুল হতে চলেছে।
অর্থাৎ, আরবিআই এ দিন রেপো রেট ৫.৪০ থেকে ৫০ বেসিস পয়েন্ট (০.৫০ শতাংশ) বাড়িয়ে ৫.৯০ শতাংশ করার ফলে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিও নিজেদের ঘাটতি পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবে। সে জন্য তারা গাড়ি-বাড়ি কেনা বা অন্যান্য কাজে যে ঋণ সরবরাহ করে থাকে, তার সুদের হার বাড়িয়ে দিতে পারে।
কী কারণে রেপো রেট বৃদ্ধি?
মুদ্রানীতি তৈরি করতে প্রধানত খুচরো মুদ্রাস্ফীতির দিকে নজর দেয় আরবিআই। বর্তমানে আরবিআই-এর সহনশীলতার লক্ষ্যমাত্রার উপরে রয়েছে খুচরো মূল্য সূচক (CPI)।
আগস্টে ভারতের খুচরো মূল্যস্ফীতি বেড়ে হয়েছে ৭.০ শতাংশ। যা আগের মাসে ছিল ৬.৭১ শতাংশ। আগস্টের অনুমানিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৬.৯ শতাংশ। কিন্তু খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে তা অনুমানের চেয়ে অনেকটাই উপরে পৌঁছে গিয়েছে। জুলাইয়ের তুলনায় আগস্টে ডাল, শাকসবজি, দুধ এবং অন্যান্য খাদ্য দ্রব্যের দাম বেড়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে গত মে মাস থেকে এখনও পর্যন্ত কয়েক দফায় রেপো রেট বৃদ্ধি করল আরবিআই।
আরও পড়ুন: তফসিলি শূন্যপদ পূরণের জন্য বিশেষ কর্মসূচি শুরু করছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি