তফসিলি শূন্যপদ পূরণের জন্য বিশেষ কর্মসূচি শুরু করছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি

bank 1

নয়াদিল্লি: তফসিলি সম্প্রদায়ের জন্য বকেয়া শূন্যপদ পূরণ করতে একটি বিশেষ কর্মসূচি শুরু করছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি (Public sector bank)। বৃহস্পতিবার ন্যাশনাল কমিশন ফর শিডিউলড কাস্টস (NCSC)-এর চেয়ারম্যান বিজয় সাম্পলা জানান, আগামী ২ অক্টোবর থেকেই শুরু হবে এই প্রক্রিয়া।

বুধবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন এবং এনসিএসি চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে এই সংস্ক্রান্ত একটি বৈঠক হয়। তফসিলি জাতির জন্য ঋণ এবং অন্যান্য কল্যাণমূলক প্রকল্পগুলিতে পাবলিক সেক্টর ব্যাঙ্কগুলির (PSBs) কর্মক্ষমতা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন সাম্পলা। তিনি বলেন, “বকেয়া শূন্যপদ পূরণের জন্য ২ অক্টোবর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অভিযান চালাবে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি। এ ছাড়াও, ব্যাঙ্কগুলিকে এই কর্মসূচি চলাকালীন ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত তফসিলিদের মুলতুবি অভিযোগগুলির নিষ্পত্তি এবং সম্পূর্ণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ব্যাঙ্কের শাখাগুলি তাদের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করবে। বিশেষ করে কেন্দ্রীয় সরকারের ‘স্ট্যান্ড আপ ইন্ডিয়া প্রোগ্রাম’ অনুযায়ী তফসিলি সম্প্রদায়ের সদস্যদের জন্যে যেগুলি বাধ্যবাধকতামূলক। একই ভাবে, এনআরএলএম, এনইউএলএম, মুদ্রা, স্বাভিমান এবং আবাস যোজনার মতো অন্যান্য কেন্দ্রীয় সরকারি প্রকল্পের ক্ষেত্রে, তফসিলি সম্প্রদায়ের সুবিধাভোগীদের জন্য নির্ধারিত পরিষেবা প্রদানের লক্ষ্য নির্ধারণ করা উচিত”।

এ ব্যাপারে তফসিলি সুবিধাভোগীদের নিয়োগ এবং পরিষেবা প্রদান সংক্রান্ত সংরক্ষণ নীতির উপর বছরে দু’বার এনসিএসসি-কে রিপোর্ট পাঠাবে ব্যাঙ্কগুলি। যেখানে এই কাজের অগ্রগতি তুলে ধরা হবে। প্রতি বছরের ১৪-৩০ এপ্রিল এনসিএসসি-তে রিপোর্ট করার পর অক্টোবরের দ্বিতীয় পাক্ষিকের মধ্যে ফের রিপোর্ট পাঠাতে বলা হয়েছে।

সমস্ত আউটসোর্সড কর্মচারীদের ন্যূনতম মজুরি দিতে এবং ডিএফএস এবং এনসিএসসি-তে এই সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ব্যাঙ্কগুলিকে। পাশাপাশি, সমস্ত ঋণের তথ্য পর্যালোচনা করতে হবে। অনুমোদিত কিন্তু বিতরণ করা হয়নি এমন ঋণের ব্যবধানও বিশ্লেষণ করবে ব্যাঙ্কগুলি। তফসিলি জাতির জন্য ক্রেডিট এনহ্যান্সমেন্ট গ্যারান্টি স্কিম বা অন্যান্য এই জাতীয় প্রকল্পের অধীনে প্রতিটি যোগ্য প্রার্থী এর সুবিধা পাচ্ছেন কি না, সেটাও নিশ্চিত করতে হবে।

আরও পড়ুন: একটি গাড়িতে লাগাতেই হবে ৬টি এয়ারব্যাগ, সময়সীমা বাড়াল কেন্দ্র

বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখেন ১০ থেকে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাংবাদিকরা। সমস্ত তথ্য যাচাই করে তবে বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.