একটি গাড়িতে লাগাতেই হবে ৬টি এয়ারব্যাগ, সময়সীমা বাড়াল কেন্দ্র

airbags

বিবি ডেস্ক: যাত্রীবাহী ছোটো গাড়িতে ছ’টি এয়ারব্যাগ লাগাতেই হবে। বাধ্যতামূলক ভাবে এই নিয়ম বাস্তবায়নের সময়সীমা এক বছর বাড়াল কেন্দ্র। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় পরিবহণমন্ত্রী নিতিন গডকড়ী (Nitin Gadkari ) ঘোষণা করেন, ২০২৩ সালের ১ অক্টোবর থেকে এই নীতি কার্যকর হবে।

কেন লাগাতে হবে এয়ারব্যাগ

দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ক্ষয়ক্ষতি কমাতে গাড়িতে চাই পর্যাপ্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা। সেই লক্ষ্যেই সমস্ত রকমের গাড়িতে এয়ারব্যাগ বাধ্যতামূলক করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসাবে আটজন যাত্রী বহনকারী সমস্ত যানবাহনে ছ’টি এয়ারব্যাগ বাধ্যতামূলক করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

বিস্তারিত পরিসংখ্যান তুলে ধরে কেন্দ্রীয় পরিবহণমন্ত্রী ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, প্রতি বছর পাঁচ লক্ষ পথদুর্ঘটনা ঘটে এ দেশে। পথদুর্ঘটনার কবলে পড়ে প্রায় দেড় লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয় একেক বছরে। এই নিয়ম কার্যকর হলে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা কমতে পারে বলে মনে করছে সরকার। যে কারণে প্রতিটি ব্যক্তির নিরাপত্তার জন্য গাড়িতে এয়ারব্যাগ রাখা বাধ্যতামূলক করার পদক্ষেপ।

কেন মেয়াদ বাড়ানো হল

এ ব্যাপারে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে একটি খসড়া বিজ্ঞপ্তি অনুমোদন করেছিল পরিবহণ মন্ত্রক। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, আট জন যাত্রীর বসার ক্ষমতা এবং সাড়ে তিন টনের কম ওজনের (অর্থাৎ এম১ ক্যাটাগরির যানবাহন) সমস্ত গাড়িতে ছ’টি এয়ারব্যাগ বাধ্যতামূলক করা হবে।

মেয়াদ বাড়ানোর কারণ হিসেবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এ দিন বলেন, বিশ্বব্যাপী সরবরাহ শৃঙ্খলে ব্যাঘাত ঘটেছে। প্রভাব রয়েছে অর্থনৈতিক পরিস্থিতিরও। অটো ইন্ডাস্ট্রির কথা মাথায় রেখেই মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে অবশ্য নিজেদের লাভক্ষতির অংক নিয়ে আগেই সরব হয়েছে গাড়ি শিল্প। তাদের দাবি, চার চাকার গাড়িতে এয়ারব্যাগের সংখ্যা বাড়ানোর সঙ্গেই বেড়ে যাবে গাড়ির দাম।

আরও পড়ুন: বছরে দু’কোটি কর্মসংস্থান স্বপ্ন, কেন্দ্রের রিপোর্টই বলছে কাজ তৈরি হচ্ছে শম্বুকগতিতে

বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখেন ১০ থেকে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাংবাদিকরা। সমস্ত তথ্য যাচাই করে তবে বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.