এই নিয়ে টানা পঞ্চম বার সুদের হার বাড়াল আরবিআই, বাড়বে ইএমআই

rbi

মূল ঋণের হার (repo rate) ফের বাড়িয়ে ৬.২৫ শতাংশ করল ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (RBI)। এর আগে পরপর তিনবার ৫০ বিপিএস বৃদ্ধির পরে ধীরগতির মুদ্রাস্ফীতির উল্লেখ করে এ বার ৩৫ বিপিএস বাড়াল কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক রেপো রেট বাড়ানোর ফলে সরকারি-বেসরকারি ব্যাঙ্কের সুদের হারও বৃদ্ধি পেতে চলেছে। ঋণগ্রহীতাদের উপরে বাড়বে ইএমআইয়ের বোঝাও।

মে মাসে ৪০ বেসিস পয়েন্ট এবং জুন, আগস্ট এবং সেপ্টেম্বরে প্রতি বার ৫০ বেসিস পয়েন্ট বৃদ্ধির পর, এটা টানা পঞ্চম বারের জন্য রেপো রেট বৃদ্ধি। এ বারের বৃদ্ধি নিয়ে রেপো রেট বাড়ল ২.২৫ শতাংশ। অর্থাৎ গত পাঁচবারে শেষ সাত মাসে মোট ২২৫ বেসিস পয়েন্ট রেপো রেট বৃদ্ধি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক।এর ফলে ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসের পর থেকে রেপো রেট সর্বোচ্চে স্তরে পৌঁছল।

বাড়বে ইএমআইয়ের বোঝা

আরবিআই-এর তিন সদস্য এবং তিনজন বাইরের সদস্য নিয়ে গঠিত মুদ্রানীতি কমিটি (MPC)-র বৈঠক শেষে বুধবার রেপো রেট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়। স্থায়ী আমানতের সুবিধার হার (standing deposit facility rate) এবং প্রান্তিক স্থায়ী সুবিধার হারও (marginal standing facility rate) একই ভাবে বেড়ে যথাক্রমে ৬.০০ শতাংশ এবং ৬.৫০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।

দেশে যখন মূল্যবৃদ্ধি চড়তে থাকে, তখনই দেশে মুদ্রাস্ফীতির উপর লাগাম টানতে রেপো রেট বৃদ্ধির পথে হাঁটে ব্যাঙ্ক। আরবিআই যে সুদের হারে দেশের অন্য ব্যাঙ্কগুলিকে ঋণ দেয়, তাকে বলে রেপো রেট। এই সুদের হার বাড়লে ব্যাঙ্কগুলিও তাদের ঋণের উপর সুদ বৃদ্ধি করে। এর ফলে সাধারণ মানুষের উপর ঋণের মাসিক কিস্তি (EMI) বেড়ে যায়।

সার্বিক আর্থিক প্রবৃদ্ধির হার

এ দিন আরবিআইয়ের গভর্নর শক্তিকান্ত দাশ বলেন, “অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর-এই ত্রৈমাসিকে আর্থিক প্রবৃদ্ধির হার বা জিডিপির বৃদ্ধির পূর্বাভাস ৬.৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৬.৬ শতাংশ করা হয়েছে। ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চ ত্রৈমাসিকে জিডিপির বৃদ্ধির হারও ৫.৮ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫.৯ শতাংশ হতে পারে। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে সার্বিক আর্থিক প্রবৃদ্ধির হার ৭ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৬.৮ শতাংশে করা হয়েছে।”

আরবিআই গভর্নর আরও বলেন, “ইউক্রেন যুদ্ধ মৌলিক ভাবে বিশ্ব অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করেছে। উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও ভারতীয় কর্পোরেট সংস্থাগুলি আগের চেয়ে স্বাস্থ্যকর। ভারতীয় অর্থনীতি স্থিতিশীল রয়েছে। আমাদের মুদ্রাস্ফীতি বিশ্বের বেশিরভাগ অংশের মতোই বেড়েছে”।

আরও পড়ুন: দেশ জুড়ে ৬৮টি হাসপাতাল তৈরি করছে ইএসআই, রাজ্যের ভাগ্যে ৪টি

বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখেন ১০ থেকে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাংবাদিকরা। সমস্ত তথ্য যাচাই করে তবে বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.