ডিজিটাল ঋণ নিতে গিয়ে সমস্যার সম্মুখীন হওয়ার ঘটনা আকছার ঘটছে। এ বিষয়ে আলোকপাত করলেন রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI) ডেপুটি গভর্নর এম রাজেশ্বর রাও। তিনি বলেন, গ্রাহকদের অভিযোগ প্রতিকারের দিকে নজর দেওয়া উচিত ব্যাঙ্কগুলির। অনেক সময়ই দেখা যাচ্ছে, গ্রাহকদের ঋণ দিলেও তাঁদের অভিযোগে কর্ণপাত করছে না ব্যাঙ্ক।
এফআইবিএসি (FIBAC)-এর এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করার সময় বৃহস্পতিবার রাও বলেন, গ্রাহকদের অভিযোগ সময়মতো সমাধান না হওয়া খুবই দুর্ভাগ্যজনক। গ্রাহকদের সমস্যার দিকে নজর দিতে হবে ব্যাঙ্ককে। ব্যাঙ্ক দেশকে যে পরিষেবা প্রদান করে তার জন্য তিনি গর্বিত, কিন্তু গ্রাহকদের অভিযোগের প্রতিকার করা হচ্ছে না। এই ব্য়াপারটা খুবই বেমানান দেখাচ্ছে।
গ্রাহকদের অভিযোগ প্রতিকারে নির্দিষ্ট বিভাগ রয়েছে ব্যাঙ্কের। রাওয়ের মতে, গ্রাহকদের অভিযোগগুলি ‘গুরুতর ভাবে বিবেচনা’ করতে হবে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে।
হাইপার-পার্সোনালাইজড এবং টেক-ব্যাঙ্কিং পরিবেশে সাইবার নিরাপত্তা জোরদার করা জরুরি। সাইবার জালিয়াতি প্রতিরোধে ব্যাঙ্কগুলিকে আরও বেশি করে সক্রিয় হতে হবে। ডিজিটাল ঋণে জালিয়াতির মামলার সংখ্যা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এটি এক ধরনের অন্ধকার দিক। এমন পরিস্থিতিতে ব্যাঙ্কের নিজস্ব কৌশলের দিকেও নজর দিতে হবে।
এখন অনেক সহজেই ডিজিটাল ঋণ পাওয়া যায়। কম সময়ের মধ্যেই ঋণ মিলে যাওয়ায় আগুপিছু চিন্তাভাবনা করেন না অনেকেই। কিছু ক্ষেত্রে গ্রাহকরা তাৎক্ষণিক ঋণ নিয়ে ফেঁসেও যান। এ সব ক্ষেত্রে সুদের হারে ফারাক দেখা যায়। ঋণ আরও বেশি ব্যয়বহুল হয়ে দাঁড়ায়। আরবিআই ডেপুটি গভর্নরের মতে, সে দিকেও নজর দিতে হবে ব্যাঙ্কগুলিকে।
প্রসঙ্গত, ডিজিটাল ঋণের আওতায় অনলাইন ওয়েবসাইট অথবা অ্য়াপের মাধ্যমে ব্যক্তিগত ঋণ পাওয়া যায়। মূলত ফিনটেক স্টার্টআপগুলিই এই ঋণের অফার করে। এই ঋণে কয়েক মিনিটের মধ্যেই আবেদনকারীর অ্যাকাউন্টে টাকা জমা হয়ে যায়। কিন্তু তাড়াহুড়ো করে এই ঋণ নিয়ে পরবর্তীতে সমস্যায় পড়তে হয়।
আরও পড়ুন: ২০৩০ সালের মধ্যে তিনগুণের বেশি বাড়তে পারে ভারতীয় ওষুধের বাজার, গুণমানে নজর দেওয়ার আহ্বান রিপোর্টে