বিবি ডেস্ক : আস্তে আস্তে করোনার দ্বিতীয় ঝড়ের ধাক্কা সামলে ফেলছে ভারত। প্রতিদিনই সংক্রমণের হার উল্লেখযোগ্য ভাবে কমছে। এই ঝড় শুরু হওয়ার ৬৩ দিন পর সংক্রমণ এক লক্ষেরও নীচে নেমে এসেছে।
অথচ ১ লা এপ্রিল থেকে ১৫ মে মধ্যে পরিস্থিতিটা এ রকম ছিল না। এক দিনে নতুন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা চার লাখকে টপকে গিয়েছিল। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টই এর কারণ।
কোভিড সংক্রমণ রুখতে বেশ কয়েকটি রাজ্য লকডাউনের ঘোষণা করেছিল। এই সিদ্ধান্তের ফলও মিলেছে। ঝড় শুরু হওয়ার ৬৬ দিন পর সংক্রমণের হার লাখের নীচে নেমে এসেছে।
এই লকডাউনের সময় রাজ্যগুলি জরুরি পরিষেবা সহ একটি নির্দিষ্ট সময়ে শাকসবজি, ফল, মুদি দোকানগুলিকে খোলার অনুমতি দিয়েছিল। তা সত্ত্বেও অনেকে সংক্রমণ এড়াতে দোকানে গিয়ে কেনাকাটা এড়িয়ে গিয়েছেন। তারা হোম ডেলিভারি বা অনলাইনের মাধ্যমে কেনাকাটা করেছেন। বিশেষত বাচ্চাদের বই-খাতা।
এই সময় ওয়ার্ক ফ্রম হোমের প্রয়োজনে ল্যাপটপ মোবাইল কেনা জরুরি বলে অনেক জানিয়েছেন। তারা ভরসা করছে অনলাইনের উপর।
করোনা সংক্রমণ কমায় ধীরে ধীরে আনলকের প্রক্রিয়া শুরু করেছে রাজ্যগুলি। আগামী তিন মাসে কী ধরনের কেনাকাটা করতে আগ্রহী ক্রেতারা তা নিয়ে সম্প্রতি একটি সংস্থা সার্ভে করেছে। দেশের ৩০৩ টি গ্রামে ৪০ হাজার ক্রেতা মধ্যে তারা এই সার্ভে করেছে সংস্থাটি।
সমীক্ষায় যা উঠে এসেছে
- এই সমীক্ষা ৫১ শতাংশ ব্যক্তি জানিয়েছেন, আগামী তিন মাসে অনলাইন ক্লাসের জন্য তাঁরা বাচ্ছাদের বই, খাতা এবং স্টেশনারি সামগ্রী কিনবেন।
- ৪৫ শতাংশ জানিয়েছেন, ওয়ার্কফ্রম হোম করার জন্য মোবাইল,ল্যাপটপ কেনার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের। এছাড়া ইলেকট্রনিক্স এবং ঘর সাজানোর সামগ্রী কেনার কথা বলেছেন অনেকে।
- ৬৬ শতাংশ জানিয়েছেন, করোনা সংক্রমণ এড়াতে আগামী তিন মাস তারা কেনাকাটা করলে হোম ডেলিভারির মাধ্যমে করবেন।
এই সমীক্ষা থেকে স্পষ্ট কিছুটা হলে রক্তের সঞ্চার হতে পারে এমএসএমই সেক্টরে। তবে তার জন্য সংস্থাগুলিকে হোম ডেলিভারি মডেল চালু করতে হবে।
আরও পড়তে: পারেন ব্যাঙ্ক বদলাতে চাইছেন? তাড়াহুড়ো না এ করে এই ৪টি বিষয় মাথায় রাখুন