আশঙ্কা বাড়িয়ে আইএমএফ, বিশ্ব ব্যাঙ্কের পর ভারতের আর্থিক বৃদ্ধি কমাল মুডিজও

economy

বিবি ডেস্ক: আগেই যে পথে হেঁটেছিল বিশ্বের তিন প্রথম সারির আর্থিক প্রতিষ্ঠান, সেই পথেই হাঁটল মুডি’জ ইনভেস্টর্স সার্ভিস (Moody’s Investors Service)। চলতি অর্থবর্ষে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধি আরও কমাল এই আর্থিক মূল্যায়ন সংস্থা। জানাল, ২০২২ সালে সেই হার হতে পারে ৭ শতাংশ।

কোথায় আশঙ্কা

ভারতে জিডিপির হিসাব হয় অর্থবর্ষ অনুসারে। তবে মুডিজে’র (Moody’s Investors Service) পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২১ ক্যালেন্ডারবর্ষে বৃদ্ধির হার ছিল ৮.৫ শতাংশ। তার পর গত জানুয়ারি-মার্চে ৪.১০ শতাংশ এবং এপ্রিল-জুনে এক বছর আগের নিচু ভিতের উপরে দাঁড়িয়ে ১৩.৫ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পায় মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন। কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে সেই সময় থেকেই বিশ্ব অর্থনীতি ফের ধাক্কা খেতে শুরু করেছে। জোগানশৃঙ্খলের সমস্যায় সারা বি‌শ্বে পণ্যের দাম আকাশছোঁয়া হওয়ায় মূল্যবৃদ্ধির হার বেড়েছে। তাকে ঠেকাতে সুদ বাড়ানোর পথে হাঁটতে বাধ্য হয়েছে বিভিন্ন দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্ক। ভারতও সেই প্রভাবের বাইরে থাকতে পারেনি। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক আরও ৫০ বেসিস পয়েন্ট সুদ বাড়াতে পারে বলে ধারণা মুডি’জের (Moody’s Investors Service)।

কী বলছে বাকিরা

চড়া মূল্যবৃদ্ধি, সুদের হারের মাথা তোলা আর শ্লথ বিশ্ব অর্থনীতি। এই ত্রহ্যস্পর্শে গতি কমছে ভারতীয় অর্থনীতিরও। এই অবস্থায় মূল্যায়ন সংস্থা মুডি’জ ইনভেস্টর্স সার্ভিস (Moody’s Investors Service) ফের ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির পূর্বাভাস ছাঁটাই করল। জানাল, ২০২২ সালে সেই হার হতে পারে ৭ শতাংশ। সেপ্টেম্বরেও তা ৮.৮ শতাংশ থেকে ৭.৭ শতাংশে নামিয়েছিল তারা। এর আগে আইএমএফ (IMF), বিশ্ব ব্যাঙ্ক (World Bank), এডিবি-সহ (ADB) বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানও পূর্বাভাস কমিয়েছিল।

কী বলছে মুডিজ

শুক্রবার ‘গ্লোবাল ম্যাক্রো আউটলুক ২০২৩-২৪’ শীর্ষক রিপোর্ট প্রকাশ করে মূল্যায়ন সংস্থাটি বলেছে, ২০২২ সালে ভারতের প্রকৃত জিডিপি (GDP) বৃদ্ধির পূর্বাভাস ৭.৭ শতাংশ থেকে ৭ শতাংশে নামানো হল। উঁচু মূল্যবৃদ্ধি, সুদ এবং বিশ্ব অর্থনীতির (World Economy) গতি কমার প্রভাবে আগের পূর্বাভাসের চেয়েও বৃদ্ধির হার কম হতে পারে। আগামী দিনেও মূল্যবৃদ্ধির উপরে চাপ বজায় রাখতে পারে দুর্বল টাকা এবং দামি তেল। জানানো হয়েছে, ২০২৩ সালে ওই হার হতে পারে ৪.৮ শতাংশ এবং ২০২৪ সালে ৬.৪ শতাংশ।

আরও পড়ুন: মোড় ঘুরবে মুদ্রাস্ফীতির, আশাবাদী আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাস

বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখেন ১০ থেকে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাংবাদিকরা। সমস্ত তথ্য যাচাই করে তবে বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.