মোড় ঘুরবে মুদ্রাস্ফীতির, আশাবাদী আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাস

Shaktikanta-Das

নয়াদিল্লি: সরকার এবং আরবিআই মুদ্রাস্ফীতি মোকাবিলায় একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে। অক্টোবরে মুদ্রাস্ফীতি ৭ শতাংশের কম হবে বলে আশা করা হচ্ছে। শনিবার এমনটাই জানালেন ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের (RBI) গভর্নর শক্তিকান্ত দাস (Shaktikanta Das)।

সম্প্রতি, মুদ্রাস্ফীতির উদ্বেগের আবহে নির্ধারিত সূচির বাইরেও বৈঠকে বসেছে আরবিআই-এর মুদ্রানীতি কমিটি (MPC)। মুদ্রাস্ফীতির তথ্যের উপর নিরবচ্ছিন্ন নজর রাখছে সরকারও। এমন পরিস্থিতিতে, আজ ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর বলেন, আরবিআই এবং সরকার উভয়ই কার্যকর ভাবে মুদ্রাস্ফীতির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে। বৈশ্বিক অস্থিরতার মধ্যে, ভারতের সামগ্রিক সামষ্টিক-অর্থনৈতিক মৌলিক বিষয়গুলো স্থিতিস্থাপকতা দেখাচ্ছে। দেশ অবশ্যই এর থেকে উপকৃত হবে।

এ দিন একটি অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, অক্টোবর মাসে মুদ্রাস্ফীতির হার ৭ শতাংশের কম হবে বলে আশা করা হচ্ছে। দেশে মূল্যস্ফীতির হার ২-৬ শতাংশের মধ্যে রাখার লক্ষ্যমাত্রা পরিবর্তনের বিষয়ে আলোচনা হলেও এই লক্ষ্যমাত্রা পরিবর্তনের কোনো প্রয়োজন আছে বলে মনে হচ্ছে না।

তিনি আরও বলেন, মূল্যস্ফীতি আমাদের সামনে একটি বড়ো চ্যালেঞ্জ। যদি পর পর তিন ত্রৈমাসিকে মূল্যস্ফীতির হার ৬ শতাংশের ওপরে থাকে, তা হলে তা মুদ্রানীতির ব্যর্থতা হিসেবে বিবেচিত হয়। যদি টানা তিন ত্রৈমাসিক এ ভাবেই চলতে থাকে, তা হলে আরবিআই-এর নির্ধারিত লক্ষ্যে মুদ্রাস্ফীতির হার কবে ফিরে আসবে, তা সরকারকে জানাতে হয়। সরকারকে চিঠি লেখে তা জানায় আরবিআই।

আরবিআই গভর্নর জানান, মূল্যস্ফীতির লক্ষ্য ৪ শতাংশ নির্ধারণের পিছনে একটি কারণ রয়েছে। আরবিআই-এর অভ্যন্তরীণ কমিটি একটি বিশদ বিশ্লেষণ পরিচালনা করে এবং দেখেছে যে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ৪ শতাংশ, যার প্রাইস ব্যান্ড +-২ শতাংশ, সেই সময়ে এবং এমনকী বর্তমান সময়েও ভারতের বৃদ্ধির হারের সমান।

বিদেশি মুদ্রাভাণ্ডার নিয়ে আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাস বলেন, “এখনও আমাদের রিজার্ভ অত্যন্ত ভালো জায়গায় আছে। যাতে বিনিময় মূল্য ঠিক ভাবে হয়, তা নিশ্চিত ভাবে করা হয়, সেজন্য বাজারে হস্তক্ষেপ করা হয়। সেইসঙ্গে বাজারের প্রত্যাশা ধরে রাখার বিষয়টি থাকে। আরবিআই যদি হস্তক্ষেপ না করে, তা হলে টাকার দাম ক্রমশ পড়তে পারে”।

আরও পড়ুন: অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ভারতের দোসর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, খোলসা করলেন নির্মলা

বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখেন ১০ থেকে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাংবাদিকরা। সমস্ত তথ্য যাচাই করে তবে বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.