একটি নির্দিষ্ট বয়সের পরে কোনো ব্যক্তিকে কর্মজীবন থেকে অবসর নিতে হয়। থেমে যায় নিয়মিত আয়ের উৎস। এমন পরিস্থিতিতে অবসর-পরবর্তী খরচের জন্য একটি অবসর তহবিল থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই অবসরের আগে অনেকেই সে ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করেন। পেনশনও অবসর পরিকল্পনার একটি অংশ। যখন অবসর পরিকল্পনার কথা আসে, তখন অবশ্যই এলআইসি (লাইফ ইন্স্যুরেন্স কর্পোরেশন)-র নাম উঠে আসে।
কী ভাবে বিনিয়োগ
নিজের গ্রাহকদের একাধিক পেনশন প্ল্যান অফার করে এলআইসি। এর মধ্যে একটি হল – এলআইসি সরল পেনশন যোজনা (LIC Saral Pension Yojana)। এটি একটি নন-লিঙ্কড, একক প্রিমিয়াম, ব্যক্তিগত তাৎক্ষণিক বার্ষিক পরিকল্পনা। এই স্কিমে একসঙ্গে বিনিয়োগ করতে হয়।
একক ভাবে বা স্বামী এবং স্ত্রী যৌথ ভাবে এলআইসি সরল পেনশন প্ল্যান নিতে পারেন। এতে একক বিনিয়োগ করতে হবে। এর পর আপনি পেনশন পেতে থাকবেন। প্ল্যান নেওয়ার সময় গ্রাহককে একসঙ্গে প্রিমিয়াম দিতে হবে। এই স্কিমে, সর্বোচ্চ পেনশন থেকে শুরু করে, সারা জীবন একই পেনশন পাওয়া যেতে থাকে। পলিসিটি শুরু হওয়ার ছয় মাস পর যে কোনো সময় সারেন্ডার করা যেতে পারে। এলআইসি সরল পেনশন স্কিমে বিনিয়োগের জন্য সর্বনিম্ন বয়স ৪০ বছর এবং সর্বোচ্চ বয়স ৮০ বছর।
পেনশনের হিসেব
বিনিয়োগকারীরা এলআইসি সরল পেনশন স্কিমে মাসিক, ত্রৈমাসিক, অর্ধবার্ষিক বা বার্ষিক পেনশন নিতে পারেন। মাসিক পেনশন সর্বনিম্ন ১ হাজার টাকা, ত্রৈমাসিক পেনশন সর্বনিম্ন ৩ হাজার টাকা, অর্ধবার্ষিক পেনশন সর্বনিম্ন ৬ হাজার টাকা এবং বার্ষিক পেনশন সর্বনিম্ন ১২ হাজার টাকা।
বিশেষ বিষয় হল এখানে সর্বোচ্চ পেনশনের কোনো সীমা নেই। আপনার বয়স যদি ৪২ বছর হয় এবং আপনি ৩০ লক্ষ টাকার বার্ষিক প্ল্যান কিনলে ১২,৩৮৮ টাকা মাসিক পেনশন পাবেন। এখন আপনি যদি পেনশনে আরও বেশি টাকা পেতে চান, তাহলে সেই অনুযায়ী এককালীন প্রিমিয়াম জমা দিতে হবে।
ঋণের সুবিধা
এই স্কিমে ঋণ সুবিধাও রয়েছে। প্ল্যান চালু হওয়ার ছয় মাস পর গ্রাহকরা ঋণের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আপনার যদি কোনো রোগের চিকিৎসার জন্য অর্থের প্রয়োজন হয়, তা হলে পলিসিতে জমা করা টাকাও তুলতে পারবেন। পলিসি সারেন্ডার করলে, গ্রাহক মূল মূল্যের ৯৫ শতাংশ ফেরত পান। আপনি একক জীবন এবং যৌথ জীবনে এই নীতি গ্রহণ করতে পারেন।
আরও পড়ুন: এলআইসি-র নতুন প্ল্যান ‘জীবন কিরণ’, প্রিমিয়াম রিটার্ন-সহ লাইফ কভারের অফার
