নয়াদিল্লি: এ বার অর্থ পাচার প্রতিরোধ আইনের (PMLA) অধীনে পণ্য ও পরিষেবা কর (GST) নেটওয়ার্ক। এর ফলে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED) এবং ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (FIU)-এর সঙ্গে তথ্য ভাগ করে নেওয়ার জন্য বাধ্যতামূলক সংস্থার তালিকায় জিএসটি নেটওয়ার্ককে অন্তর্ভুক্ত করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
তালিকায় ২৬তম বিষয় হিসেবে জিএসটি যুক্ত করার জন্য আইনের ৬৬এ ধারায় পরিবর্তন এনেছে কেন্দ্র। এ বিষয়ে গত শুক্রবার একটি বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করা হয়। যেখানে বলা হয়েছে, ইডি অথবা এফআইইউ-র মতো তদন্তকারী সংস্থা তদন্তের স্বার্থে কোনো তথ্যের প্রয়োজন পড়লে জিএসটি নেটওয়ার্ক থেকে তা সংগ্রহ করতে পারে।
অর্থাৎ, বিদেশি মুদ্রার লেনদেনে কোনো জিএসটি মূল্যায়নকারীর সম্পর্ক খুঁজে পেলে জিএসটি নেটওয়ার্কের সঙ্গে তথ্য ভাগ করে নেবে তদন্তকারী সংস্থাগুলি।
কী কারণে এই পদক্ষেপ?
ভুয়ো জিএসটি রেজিস্ট্রেশন মামলার একটি তদন্তই এই পদক্ষেপের মূল সূত্র। জানা গিয়েছে, অর্থ পাচার ঢাকতে জাল প্যান এবং আধার ব্যবহার করে বেশ কিছু ব্যক্তি জিএসটি রেজিস্ট্রেশনের চেষ্টা করেছিলেন। সেই সমস্ত অভিযোগের তদন্তে নেমেছিল ইডি।
দেশব্যাপী অভিযান চালিয়ে সরজমিনে যাচাইয়ের জন্য ৬০ হাজারেরও বেশি জিএসটি সনাক্তকরণ নম্বর (GSTIN) নির্বাচন করেন কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য জিএসটি কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে ৫০ হাজারের বেশি নম্বর যাচাই করা হয়েছে। সেগুলির মধ্যে ২৫ শতাংশ ছিল ভুয়ো এবং এখনও পর্যন্ত ১১ হাজারের বেশি জিএসটিআইএন স্থগিত করেছেন কর্তৃপক্ষ।
আর যেসব সংস্থার সঙ্গে তথ্য ভাগ
তবে আইন সংশোধনের পর শুধুমাত্র ইডি এবং এফআইইউ নয়, এ ছাড়াও আরও কিছু সংস্থার সঙ্গে জিএসটি নেটওয়ার্ককে তথ্য ভাগ করে নিতে হবে। যে সংস্থাগুলির তথ্য শেয়ার করতে হবে সেগুলির তালিকায় রয়েছে ভারতের কম্পিটিশন কমিশন, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অব ইন্ডিয়া, ইন্স্যুরেন্স রেগুলেটরি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়া, গুরুতর জালিয়াতি তদন্ত অফিস এবং বৈদেশিক বাণিজ্য বিভাগের মহাপরিচালক। বলে রাখা ভালো, এই তালিকাটি সময়ে সময়ে সংশোধন করা হয়।
আরও পড়ুন: মুম্বই-কলকাতা, সরাসরি উড়ান চালু করল আকাসা এয়ার