তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা অ্যাক্সেনচার (Accenture)-এর কর্মীদের জন্য দুঃসংবাদ। আগামী দিনে নিজের মুনাফা হ্রাসের আশঙ্কা। মন্দার জেরে রাজস্ব ঘাটতির ইঙ্গিত মিলতেই প্রায় ১৯ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিল সংস্থা।
বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি ক্রমশ নিম্নমুখী। যা তথ্যপ্রযুক্তি পরিষেবাগুলিতে ব্যয় বাড়িয়ে তুলেছে। যে কারণে কর্মী ছাঁটাইয়ের পথ ধরছে অ্যাক্সেনচার। বৃহস্পতিবার সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, আগামী ১৮ মাসে ১৯ হাজার কর্মীকে ছাঁটাই করা হবে। নন-বিলেব্ল ক্ষেত্রে কাজ করেন (যাঁদের কাজের বিনিময়ে ক্লায়েন্ট টাকা দেয় না), এমন কর্মীদেরই ছাঁটাই করা হবে।
শুধুমাত্র অ্যাক্সেনচার নয়, কতকটা একই কারণে অনেক বড়ো সংস্থাই এই বছর কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা করেছে। চলতি বছরের শুরুতে, মেটা, গুগল এবং জুমের মতো সংস্থাগুলি ইতিমধ্যে কর্মী ছাঁটাই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ফেসবুকের মূল কোম্পানি মেটা নিজের টিম থেকে প্রায় ১০ হাজার কর্মী কমানোর পরিকল্পনা করছে। গত বছরের পর এটাই হতে চলেছে মেটার দ্বিতীয় বৃহত্তম কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা।
অ্যাক্সেনচার আশঙ্কা করছে, মন্দার কারণে কোম্পানির উপর বড়োসড়ো নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। সংস্থার সিইও জুলি সুইট জানিয়েছেন, ২০২৪ অর্থবর্ষে সংস্থার খরচ কমানোই এখন লক্ষ্য তাঁদের। সংস্থার আশা, তাদের বার্ষিক রাজস্ব বৃদ্ধি হবে আট থেকে ১০ শতাংশ। যেখানে আগে তাদের বার্ষিক রাজস্বের প্রত্যাশা ছিল আট থেকে ১১ শতাংশ।
সংস্থার চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার কেসি ম্যাকক্লুর জানিয়েছেন, যে ১৯ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা করা হয়েছে, তা সংস্থার মোট শ্রমশক্তির প্রায় ২.৫ শতাংশকে প্রভাবিত করবে। এই ১৯ হাজারের অর্ধেককে ছাঁটাই করা হবে চলতি বছরেই।
উল্লেখযোগ্য ভাবে, অ্যাক্সেনচার-এর এই সিদ্ধান্তের বড় প্রভাব পড়বে ভারতের কর্মসংস্থানের বাজারেও। এর ফলে অনেক ভারতীয় চাকরি খোয়াবেন বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: আগামী শনি-রবিতেও খোলা থাকবে ব্যাঙ্ক, গ্রাহকদের সুবিধায় নির্দেশিকা জারি আরবিআই-এর