জি২০ শীর্ষ সম্মেলন ২০২৩-এর প্রথম দিনে আলোচনায় উঠে এসেছে বিভিন্ন বিষয়। বেশ কিছু সমস্যা সমাধানে ভবিষ্যতের রূপরেখাও নির্ধারণ করা হয়। ক্রিপ্টোকারেন্সিও সেই সমস্যাগুলির মধ্যে একটি। বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান এবং প্রতিনিধিদের প্রথম দিনের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে একটা বিষয় অন্তত স্পষ্ট হয়ে গেছে যে ক্রিপ্টোকারেন্সির ভবিষ্যৎ কেমন হতে চলেছে।
জি২০-র প্রথম দিনে প্রকাশিত ঘোষণাপত্রে ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি উল্লেখ করা হয়েছে। ঘোষণায় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল এবং ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পর্কিত আর্থিক স্থিতিশীলতা বোর্ডের তৈরি বিশ্লেষণমূলক নথিকে স্বাগত জানানো হয়েছে। সদস্য দেশগুলো এই ঘোষণায় সম্মত হয়েছে যে ক্রিপ্টোসম্পদের বিশ্বে দ্রুত পরিবর্তন ঘটছে। এর সঙ্গে জড়িত ঝুঁকিগুলি নিরবচ্ছিন্ন ভাবে পর্যবেক্ষণ করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
আইএমএফ এবং এফএসবি-র তৈরি ক্রিপ্টোকারেন্সির উপর বিশ্লেষণ পত্রে উল্লেখিত বেশ কিছু রূপরেখা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে সম্মেলনে। জি২০ শীর্ষ সম্মেলন শুরুর ঠিক আগে, উভয় আন্তর্জাতিক সংস্থা এই সপ্তাহে ক্রিপ্টোকারেন্সির উপর একটি যৌথপত্র প্রকাশ করেছে। ওই নথিতে স্পষ্ট ভাবে বলা হয়েছে, যদি ক্রিপ্টোকারেন্সির উপর আপাদমস্তক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়, তবে এটি সম্ভবত আর কাজ করবে না।
জানা যাচ্ছে, ক্রিপ্টোকারেন্সিগুলিকে নিষিদ্ধ করার পরিবর্তে নিয়ন্ত্রিত করার পরামর্শ দিয়েছে আইএমএফ এবং এফএসবি। এখন যেহেতু ওই নথি জি২০ সম্মেলনে স্বাগত জানানো হয়েছে, তাই ধরে নেওয়া যেতে পারে বিশ্বের প্রধান অর্থনীতিগুলি আগামী দিনে ক্রিপ্টোকারেন্সি নিষিদ্ধ করার পথে যাচ্ছে না। পরিবর্তে, অনেক দেশ ক্রিপ্টোকারেন্সি সংক্রান্ত কঠোর এবং স্বচ্ছ আইনের সাহায্য নিতে পারে।
ভারতে ক্রিপ্টোর প্রচলন অনেক দিন ধরেই উল্লেখযোগ্য স্থান দখল করেছে। জি২০ এখন যে অবস্থান নেওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে, তা বহুদিন আগেই গ্রহণ করেছে ভারত। ক্রিপ্টোকারেন্সি নিষিদ্ধ করার পরিবর্তে কঠোর ভাবে তা নিয়ন্ত্রণের পথ নিয়েছে এ দেশ। ভারতে ক্রিপ্টোকারেন্সি নিষিদ্ধ করা হয়নি, তবে বড়ো অংকের কর আরোপ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ৯-১০ সেপ্টেম্বর ভারতের রাজধানী দিল্লিতে আয়োজিত হয়েছে বার্ষিক জি২০ সম্মেলন। এ বছরের সম্মেলনের মূল আলোচ্য বিষয় হচ্ছে টেকসই উন্নয়ন। জি২০-র সদস্য রাষ্ট্রগুলো হচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং আরো ১৯টি দেশ। এসব দেশ হচ্ছে – আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চিন, ফ্রান্স, জার্মানি, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইতালি, জাপান, মেক্সিকো, রাশিয়া, সৌদি আরব, সাউথ আফ্রিকা, সাউথ কোরিয়া, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্র। স্পেন সব সময়ই অতিথি রাষ্ট্র হিসেবে আমন্ত্রণ পায়।
আরও পড়ুন: ‘আপনার অ্যাকাউন্ট ক্রেডিট করা হয়েছে…’, প্রতারণার নতুন ছকে পা দিলেই বিপদ