কাগজের নোট ময়লা হওয়া বা ছিঁড়ে যাওয়া অস্বাভাবিক কোনো ঘটনা নয়। এখন হাতে হাতে ঘুরছে ময়লা এবং ছেঁড়া নোট। ফলে, অনেকেই সেই টাকা নিতে চাইছে না। ময়লা নোট দেওয়া-নেওয়া নিয়ে ঝগড়া বেঁধে যাচ্ছে নিত্যদিন। শুধু কি তাই, অনেক সময় এটিএম থেকেও বেরিয়ে আসছে ছেঁড়া নোট।
এই সমস্যাটি সমাধান করার জন্য, ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (RBI) ময়লা/বিকৃত/ক্ষতিগ্রস্ত মুদ্রা নোট বিনিময়ের জন্য একটি নিয়ম করেছে। বাধ্যতামূলক এ ধরনের নোটের বিনিময়ে নতুন নোট দেওয়ার কথা ভারতীয় ব্যাঙ্কগুলির। কিন্তু এই ধরনের নোটের মূল্য নির্ধারণ এবং এই ধরনের ময়লা নোটের জন্য কীভাবে নতুন নোট দেওয়া হবে তা নির্ধারণের জন্য বিভিন্ন শর্তও রয়েছে।
সম্প্রতি আরবিআই-এর নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, “সমস্ত মূল্যের তাজা/ভাল মানের নোট এবং কয়েন জারি করা, অথবা ময়লা/বিকৃত/ক্ষতিপূর্ণ নোট বিনিময় করার জন্য সাধারণ মানুষের আরবিআই আঞ্চলিক অফিসে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। কারণ দেশের সমস্ত অঞ্চলে ব্যাঙ্কের সমস্ত শাখাগুলিকে এ ধরনের গ্রাহক পরিষেবাগুলি সক্রিয় এবং জোরালো ভাবে প্রদানের বিষয়টি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।”
বিশেষজ্ঞদের মতে, আরবিআই-এর নিয়মানুযায়ী ময়লা/বিকৃত, ইত্যাদি নোট বিনিময়ের সুবিধার্থে কোনো ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খোলার প্রয়োজন নেই। এর জন্য কাছের কোনো ব্যাঙ্কের যেকোনো শাখায় যেতে পারেন এবং যে কোনো কাজের দিনে এই পরিষেবাটি পাওয়া যাবে।
তবে, এই ধরনের ময়লা/বিকৃত নোটের মূল্য নির্ধারণ করা হবে আরবিআই-এর নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে। সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের নিজস্ব অভ্যন্তরীণ নীতিও নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে বিনিময় মূল্য নির্ধারণে প্রয়োগ করা হতে পারে। সেক্ষেত্রে নোটের মানের উপর বা সেটির অবস্থার উপর ভিত্তি করে পূর্ণ, অর্ধেক বা অন্য কোনো বিনিময় মূল্য নির্ধারণ করা হতে পারে। অর্থাৎ, আপনার কাছে থাকা ময়লা/ছেঁড়া নোটটি যে মূল্যেরই হোক না কেন, সেটার বিনিময় মূল্য মোটেই তার সমান নাও হতে পারে।
আরও পড়ুন: এটিএম থেকে ছেঁড়া নোট বেরলে টেনশন নেই, সহজেই বদলে নিতে পারবেন এই ভাবে
