আরও দ্রুত এবং সহজ হবে ঋণ, জাতীয় আর্থিক তথ্য ভাণ্ডার গড়ছে কেন্দ্র

loan

২০২২-২৩ আর্থিক বছরের কেন্দ্রীয় বাজেটে জাতীয় আর্থিক তথ্য ভাণ্ডার (National financial information registry) গড়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের (RBI) গভর্নর শক্তিকান্ত দাস জানিয়েছেন, এতে ঋণ মঞ্জুর এবং আবেদনকারীর কাছে ঋণের টাকা পৌঁছানোর প্রক্রিয়া আরও দ্রুত ও সহজ হবে।

শনিবার আরবিআই গভর্নর বলেন, “ঋণ মঞ্জুর করার আগে একটি ব্যাঙ্কের অনেক তথ্যের প্রয়োজন হয়। ফলে গোপনীয়তা এবং অন্যান্য বিষয়গুলি যতটা সম্ভব বিবেচনা করে একটি তথ্য ভাণ্ডার তৈরি করা হলে, আবেদনের প্রেক্ষিতে ঋণ মঞ্জুর করতে সুবিধা হবে ব্যাঙ্কের। আবেদনকারীর তথ্য ঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলির কাছে সহজলভ্য হলে প্রক্রিয়াটিকে দ্রুততর করে তুলবে। ক্রেডিট প্রবাহ বাড়বে”।

কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের বোর্ডের বৈঠকের পরে শক্তিকান্ত দাস বলেন, এই তথ্য ভাণ্ডার আইন দ্বারা সমর্থিত হবে, যার জন্য খসড়া বিল শীঘ্রই চূড়ান্ত হতে পারে।

ক্রমাগত সুদের হার বৃদ্ধির ফলে গৃহঋণের চাহিদা কমে যায়। এ বিষয়টিতে জোর দিয়ে তিনি বলেন, প্রকৃত সুদের হার (মূল্যস্ফীতির কারণের পরে) শুধউমাত্র “ইতিবাচক অঞ্চলে” স্থানান্তরিত হয়েছে। মূল্যবৃদ্ধির স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্যই আরবিআই-এর রেপো রেট বাড়ানো হয়েছে।

গত ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ভারতের খুচরো মূল্যস্ফীতি নেমে এসেছে ৫.৭২ শতাংশ। তবে এখনও তা কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের কাঙ্ক্ষিত স্তরের উপরে। সরকারি তথ্য অনুয়ায়ী, সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানগুলি আগের মাসের তুলনায় একটি প্রান্তিক পতন এবং খুচরো মূল্যস্ফীতি আরও সংযম দেখাচ্ছে। এই প্রেক্ষিতেই আরবিআই টানা ছ’বার রেপো রেট বাড়িয়েছে।

চলতি মাসেই রেপো রেট ২৫ বিপিএস বৃদ্ধি করা হয়েছে। বর্তমানে রেপো রেট দাঁড়িয়েছে ৬.৫০ শতাংশে। কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক মূল সুদের হার বাড়ানোর পর বাড়ি, গাড়ি ঋণের সুদের হার বাড়িয়েছে অন্য ব্যাঙ্কগুলিও। নতুন সুদের হার ঘোষণা করার সময় আরবিআই গভর্নর অবশ্য বলেছিলেন, “কয়েক মাস আগে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি এখন অতটা ভয়ঙ্কর মনে হচ্ছে না। প্রধান অর্থনীতিতে বৃদ্ধির সম্ভাবনা উন্নত হয়েছে, যখন মুদ্রাস্ফীতি নিম্নমুখী হয়েছে। যদিও প্রধান অর্থনীতিতে এখনও লক্ষ্যমাত্রার উপরে রয়েছে। পরিস্থিতি আদতে অনিশ্চিত রয়ে গেছে।”

আরও পড়ুন: ঘরে বসে পিএফ থেকে টাকা তুলবেন কী ভাবে, জেনে নিন পদ্ধতি

বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখেন ১০ থেকে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাংবাদিকরা। সমস্ত তথ্য যাচাই করে তবে বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.