বিবি ডেস্ক: শেষ কয়েক মাস ধরে মার্কিন ডলারের তুলনায় ভারতীয় টাকার দাম ক্রমশ নিম্নমুখী। নামতে নামতে ঐতিহাসিক স্তরে নেমেছে টাকার দাম। চলমান পতন ঠেকাতে বারবার ডলার বিক্রি করতে হচ্ছে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (RBI)-কে। যে কারণে বিদেশি মুদ্রাভাণ্ডারেও (Foreign Currency Reserves) বড়োসড়ো পতন ঘটে গিয়েছে।
টান পড়ছে বিদেশি মুদ্রার ভাঁড়ারে
১৪ অক্টোবর শেষ হওয়া সপ্তাহের জন্য, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বহু বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন স্তরে নেমে এসেছে। আরবিআই-এর প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নেমে এসেছে ৫২৮৩৭০ কোটি ডলারে।
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তথ্য অনুযায়ী, ১৪ অক্টোবর শেষ হওয়া সপ্তাহে, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে ৪৫০ কোটি ডলার হ্রাস পেয়েছে। এর আগে ৭ অক্টোবর শেষ হওয়া সপ্তাহে ১০ সপ্তাহের মধ্যে প্রথম বারের মতো বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়েছিল। গত বছর, ২০২১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৬৪২৪৫৩ কোটি ডলার। আর সেটাই এখন ৫২৮৩৭০ কোটি ডলারে নেমে এসেছে।
অন্য দিকে, বৈদেশিক মুদ্রার সম্পদ ২৮৩ কোটি ডলার কমে হয়েছে ৪৬৮৬৭ কোটি ডলার। তাই সোনার রিজার্ভও কমেছে এবং তা ১৫০ কোটি ডলার কমে ৩৭৪৫০ কোটিতে নেমে এসেছে। আসলে ডলারের বিপরীতে টাকার দামে বড়ো পতনই এর অন্যতম কারণ। টাকা এখন ৮৩.৩৫-এর স্তরে নেমে গেছে। ডলারের বিপরীতে টাকার পতন রুখতে এখনও পর্যন্ত নিজের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে ১১৪০০ কোটি ডলার বিক্রি করেছে আরবিআই।
টাকার দরপতন অব্যাহত থাকলে কী হবে
বিশেষজ্ঞদের মতে, চলতি হিসাবের ঘাটতি (Current Account Deficit) ৪ শতাংশ হলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৫১০০০ কোটি ডলারে নেমে আসতে পারে। অর্থনীতিবিদদের মতে, এ ভাবে ডলারের বিপরীতে টাকার দরপতন অব্যাহত থাকলে আমদানি ব্যয়বহুল হতে পারে। চলতি অর্থবছরের ২০২২-২৩ সালের প্রথম ত্রৈমাসিকে, এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত, চলতি হিসাবের ঘাটতি বেড়ে ১২৯০ কোটি ডলার হয়েছে, যা জিডিপির ২.৮ শতাংশ।
তবে আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাস বলেছেন, বাজারে অস্থিরতা থাকলেও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ভালো অবস্থানে রয়েছে। তিনি বলেন, বাজার পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে আরবিআই ধারাবাহিক ভাবে হস্তক্ষেপ করে চলেছে।
আরও পড়ুন: ঐতিহাসিক পতন! এই প্রথম ডলারের তুলনায় ৮৩ টাকা পার করল রুপি
Discover more from banglabiz
Subscribe to get the latest posts sent to your email.