বিবি ডেস্ক: নির্দিষ্ট কোনো কাজের জন্য গ্রাহকদের কাছ থেকে পরিষেবা চার্জ (service charge) নিয়ে থাকে ব্যাঙ্ক। যেমন এটিএম পরিষেবা ব্যবহার করার জন্য গ্রাহকদের কাছ থেকে ফি নেওয়া হয়।
এ ধরনের ফি-কে গ্রাহক পরিষেবা ফি (customer service fee) বা রক্ষণাবেক্ষণ ফি (maintenance fee)-ও বলা যেতে পারে। অফলাইন এবং অনলাইন, দু’ধরনেই পরিষেবা দিয়ে থাকে ব্য়াঙ্ক। তবে বেশ কিছু পরিষেবা বিনামূল্যে মিললেও বেশ কিছুর জন্য চার্জ দিতে হয়।
সাধারণত, এটিএম কার্ড, চেকবই এবং অনলাইনে বেশিরভাগ পরিষেবা বিনামূল্যে দিয়ে থাকে ব্যাঙ্ক। কিন্তু কিছু পরিষেবার জন্য চার্জ করা হয়। তবে এ ব্যাপারে গ্রাহককে জানিয়ে দেয় ব্যাঙ্ক। হয় মোবাইল এসএমএস, নয়তো ব্যাঙ্কের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট এবং মোবাইল অ্যাপ থেকে সম্পূর্ণ তথ্য জেনে নেওয়া যায়।
কোন কোন পরিষেবায় চার্জ দিতে হয়
১. অ্যাকাউন্টে ন্যূনতম সীমার চেয়ে কম ব্যালেন্স থাকলে জরিমানা দিতে হয়।
২. ডেবিট কার্ডের জন্য বার্ষিক ফি।
৩. চেকবই বারবার ইস্যু করা বা বাউন্স করার জন্য ফি।
৪. ব্যাঙ্কের নির্ধারিত পরিমাণের ভিত্তিতে ব্যাঙ্ক থেকে পেমেন্ট ট্রান্সফার ফি।
৫. নগদ উত্তোলন এবং জমার পরিমাণ অনুযায়ী চার্জ।
৬. হোম ব্যাঙ্কিং পরিষেবাগুলির জন্য ফি ।
৭. ঋণের জন্য আবেদন করলে প্রসেসিং ফি, ডকুমেন্টেশন চার্জ, আবেদন ফি এবং
আইনি খরচ।
৮. ঋণের জন্য নথি জমা দিতে হয়, সেগুলির ডুপ্লিকেট কপির জন্য আবেদন করলে চার্জ ধার্য করা হয়।
৯. নির্দিষ্ট সুদের হারে ঋণ নিয়ে অসময়ে সেটি বন্ধ করে দিলে।
১০. ব্যাঙ্কে লকারের সুবিধা নিলে ফি দিতে হবে।
১১. ডেবিট কার্ড দিয়ে বিদেশে টাকা পাঠালে।
১২. ব্যাঙ্ক থেকে ডিমান্ড ড্রাফট নেওয়া এবং অতিরিক্ত পৃষ্ঠা-সহ চেকবইয়ের জন্য চার্জ দিতে হয়।
আরও পড়ুন: ক্রেটিড কার্ডের ব্যালেন্স ট্রান্সফারের সুবিধা
Discover more from banglabiz
Subscribe to get the latest posts sent to your email.