বিবি ডেস্ক: চড়া সুদের হারে ক্রেডিট কার্ডে (Credit Card) নেওয়া ঋণ নিষ্পত্তির জন্য অনেকেই ব্যালেন্স ট্রান্সফার (Balance Transfer) ব্যবহার করে থাকেন। যদিও এর সুবিধাগুলো নিয়ে এখনও বিভ্রান্তি রয়েই গিয়েছে। অনেকেই এ ব্যাপারে যথেষ্ট অবগত না হওয়ার দরুন, এক কার্ড থেকে অন্য কার্ডে ব্যালেন্স ট্রান্সফার থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখেন।
যে কোনো সময় পরিবর্তন হতে পারে যে কোনো ব্যক্তির আর্থিক অবস্থা। এমন পরিস্থিতিতে অন্য সব কিছুর মতোই ক্রেডিট কার্ডের বিল ঝুলতে বাধ্য। এতে আপনার ক্রেডিট স্কোর (Credit Score) বা সিবিল স্কোর (CIBIL Score) খারাপ হয়ে যেতে পারে। যা ভবিষ্যতে ঋণ পাওয়ার পথে অন্তরায়। এ ক্ষেত্রে আর্থিক চাপ কমাতেও অনেকে বেছে নেন ব্যালেন্স ট্রান্সফার পদ্ধতি। তবে প্রথমেই জেনে নেওয়া ভালো, এটা ঠিক কী ভাবে কাজ করে?
ক্রেডিট কার্ডের ব্যালেন্স ট্রান্সফার আসলে কী?
সহজ কথায় বলতে গেলে, এই পদ্ধতিতে কার্ডধারীর পাওনা টাকা এক কার্ড থেকে অন্য কার্ডে স্থানান্তরিত হয়। এতে যে সুবিধাগুলি পাওয়া যেতে পারে, তার মধ্যে অন্যতমটি হল স্বল্প হারে বা কখনও কখনও সুদবিহীন ভাবে একটি কার্ড থেকে অন্য কার্ডের ঋণ পরিশোধ করা। তবে কিছু ব্যাঙ্ক এর জন্য ট্রান্সফার ফি নিয়ে থাকে।
এই পদ্ধতি বেছে নেওয়ার অন্যতম প্রধান আরেকটি কারণ হল আর্থিক চাপ হ্রাস করা। কম সুদের হারে ঋণ নিয়ে ওই টাকা পরে পরিশোধ করার বাড়তি সময়-সুযোগ পাওয়া যায়।
অন্য দিকে সময় মতো ঋণ পরিশোধ না করার জন্য মোটা অঙ্কের জরিমানার হাত থেকেও সাময়িক নিষ্কৃতি মিলতে পারে ব্যালেন্স ট্রান্সফারের মাধ্যমে। তবে এ কথা অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে, ব্যালেন্স ট্রান্সফারের সুবিধা সেই কার্ডধারী-ই পাবেন, যাঁর ঋণ পরিশোধের ভালো রেকর্ড অথবা সক্ষমতা রয়েছে। যে কারণে অনেকেই এই পদ্ধতির পরিবর্তে পার্সোনাল লোনের দিকে ঝুঁকে পড়েন।
ক্রেটিড কার্ডের ব্যালেন্স ট্রান্সফারের সুবিধা
১. ক্রেডিট কার্ডে ব্যালেন্স ট্রান্সফারে সুদের হার অনেকটাই কম। উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে, কোনো ক্রেডিট কার্ডধারীকে যখন প্রতিমাসে চার্জ হিসেবে ৩.৫ শতাংশ খরচ করতে হয়, তখন ক্রেডিট কার্ডের ব্যালান্স ট্রান্সফারে সুদের হার কোথাও কোথাও ১.৮ শতাংশের কাছাকাছি।
২. এটা যে একটি কার্ডের ঋণ থেকে দ্রুত মুক্ত হওয়ার সুবিধাজনক পদ্ধতি, সে কথা নি:সন্দেহে বলা চলে।
৩. এক বার সুদের হার কম হয়ে গেলে, কোনো কার্ডধারীর পক্ষে টাকা পরিশোধ করা এবং পাশাপাশি ক্রেডিট স্কোর বাড়ানো সহজ হয়ে যায়।
৪. শুধু তাই নয়, কখনও কখনও এই জাতীয় কার্ড সরবরাহকারী ব্যাঙ্কগুলি কার্ডধারীদের বকেয়া অর্থ পরিশোধের জন্য বাফার সময় দেয় এবং সেই সময়ের মধ্যে সুদের হার অনেক কম বা নামমাত্র।
আরও পড়ুন: অপরিশোধিত তেলের দামে অস্থিরতা অব্যাহত! দীপাবলির আগে কি স্বস্তি পেট্রোল-ডিজেলে?