ভারতের বৈদেশিক মুদ্রাভাণ্ডার বেড়ে ৬২৩২০ কোটি ডলার

ফের বাড়ল ভারতের বিদেশি মুদ্রা ভাণ্ডার (foreign exchange reserves)। ২৯ ডিসেম্বর শেষ হওয়া সপ্তাহে ভারতের বৈদেশিক মুদ্রাভাণ্ডার ২৭৫.৯ কোটি মার্কিন ডলার বেড়েছে। শুক্রবার এমনটাই জানাল ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (RBI)। এর আগের সপ্তাহে ভারতের বিদেশি মুদ্রা ভাণ্ডার ৯১১ কোটি ডলার বেড়েছিল।

শুক্রবার আরবিআই জানায়, ২৯ ডিসেম্বর শেষ হওয়া সপ্তাহে দেশের বিদেশি মুদ্রা ভাণ্ডার থিতু হয়েছে ৬২৩২০ কোটি ডলারে। মূলত বিদেশি মুদ্রা সম্পদের বৃদ্ধির ফলেই এই উত্থান। এমনটাই জানিয়েছে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (RBI)-এর পরিসংখ্যান।

এটি বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডারের ২০ মাসের সর্বোচ্চ স্তর। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (আরবিআই) তথ্য অনুসারে, ২৯ ডিসেম্বর শেষ হওয়া সপ্তাহের জন্য, রিজার্ভের একটি প্রধান উপাদান বৈদেশিক মুদ্রা সম্পদ (FCA) ১৮৬.৯ কোটি ডলার বেড়ে ৫৫১৬১.৫ কোটি ডলার হয়েছে। গত সপ্তাহেও (২৩ ডিসেম্বর) বৈদেশিক মুদ্রার সম্পদ ৯০০ কোটি ডলারের বেশি বেড়েছিল।

সপ্তাহে সোনার মজুদ ৮৫.৩ কোটি ডলার বেড়ে ৪৮৩২.৮ কোটি ডলার হয়েছে। স্পেশাল ড্রয়িং রাইটস (এসডিআর) ৩.৮ কোটি ডলার বেড়ে হয়েছে ১৮৩৬.৫ কোটি ডলার।

মার্কিন ডলার, ইউরো, পাউন্ড স্টার্লিং, অস্ট্রেলিয়ান ডলার, ইত্যাদির মতো বিভিন্ন মুদ্রায় ধারণ করা হয় ভারতের বৈদেশিক মুদ্রা ভাণ্ডার। এ ক্ষেত্রে অন্যান্য মুদ্রা প্রধান আন্তর্জাতিক মুদ্রা বা মার্কিন ডলারের মূল্য বৃদ্ধির বিপরীতে ধারণকৃত সম্পদের তুলনামূলক মূল্য নির্ধারিত হয়।

ফরেক্স মার্কেটের অংশগ্রহণকারীদের মতে, ভারতীয় রুপি স্থিতিশীল হওয়ায় ডলার কিনতে হস্তক্ষেপ করেছে আরবিআই। যে কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডারে এই বৃদ্ধি ধরা পড়ছে।

গত বছরের শেষ কয়েক মাস ধরে ডলারের তুলনায় দুর্বল থেকে দুর্বলতর হয়েছে ভারতীয় টাকা। ভেঙেছে একের পর এক সর্বকালীন সর্বনিম্ন রেকর্ড। ডলার ক্রমশ শক্তিশালী হওয়ার কারণে তীব্র চাপের মধ্যে রয়েছে অন্যান্য মুদ্রাগুলিও। আমদানিকারকদের কাছ থেকে ডলারের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে নতুন বছরে সেই পরিস্থিতির কিছুটা হলেও বদল দেখা যাচ্ছে।

বিশ্লেষকদের মতে, সাম্প্রতিক সময়ে ভারতীয় মুদ্রার অস্থিরতা মোকাবিলায় বিদেশি মুদ্রাভাণ্ডার ব্যবহার করা হচ্ছিল। অস্থির ও অস্বস্তিকর গতিবিধির নিয়ন্ত্রণে কোনো খামতি রাখতে চায়নি কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। যদিও বর্তমানে ভারতীয় রুপি স্থিতিশীল হওয়ায় ডলার কিনতে আগ্রহ দেখাচ্ছে আরবিআই।

আরও পড়ুন: সাহারা রিফান্ড পোর্টালে ০.২৭ শতাংশ টাকা ফেরত, বিস্ফোরক তথ্য আরটিআই-এ

বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখেন ১০ থেকে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাংবাদিকরা। সমস্ত তথ্য যাচাই করে তবে বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.