পিপিএফ বিনিয়োগে শক্তিশালী রিটার্নের সঙ্গেই কর ছাড়ের সুবিধা, জেনে নিন খুঁটিনাটি

ppf

নিজের আয়ের একটা অংশ কোনো সরকারি স্কিমে বিনিয়োগ করতে চাইলে পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড (PPF) হতে পারে একটি চমৎকার বিকল্প। এই স্কিমের মাধ্যমে, আপনি দীর্ঘমেয়াদে উচ্চ সুদের হার-সহ কর ছাড়ের সুবিধা পেতে পারেন।

কর্মজীবন থেকে অবসর নেওয়ার পর একটা বড় অংশের মানুষ প্রভিডেন্ট ফান্ডের সুবিধা পান না। তাঁদের জন্য পিপিএফ একটা নির্ভরযোগ্য প্রকল্প। আপনি যদি এই স্কিমে বিনিয়োগ করার চিন্তাভাবনা করেন, তা হলে এখানে জেনে নিন বিস্তারিত।

পিপিএফ-এর মেয়াদ

পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড স্কিম হল ১৫ বছরের একটি দীর্ঘমেয়াদী স্কিম। ১৫ বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে, আপনি এই স্কিমে বিনিয়োগের সময়কাল আরও পাঁচ বছরের জন্য বাড়াতে পারেন।

পিপিএফ-এ সুদির হার

জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ত্রৈমাসিকের জন্য প্রকল্পের জন্য সুদের হার ৭.১ শতাংশ নির্ধারণ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই সুদ হিসাব করা হয় চক্রবৃদ্ধির ভিত্তিতে।

কত টাকা বিনিয়োগ

এই স্কিমে, আপনি একটি আর্থিক বছরে ৫০০ টাকা থেকে ১.৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে পারেন। এতে বিনিয়োগ করে আপনি আপনার বৃদ্ধ বয়স, বাচ্চাদের শিক্ষা, বিয়ে ইত্যাদি খরচের জন্য একটি বড় তহবিল তৈরি করতে পারেন।

ঋণের সুবিধা

একটানা ৩ বছর বিনিয়োগ করার পর, আপনি জমা করা পরিমাণের ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ পেতে পারেন।

অকাল প্রত্যাহার

অ্যাকাউন্ট থেকে অকাল প্রত্যাহারের জন্য, কমপক্ষে ৫ বছরের জন্য বিনিয়োগ করতে হবে।

কর ছাড়ের সুবিধা

আয়কর আইনের ধারা ৮০সি-র অধীনে বার্ষিক সর্বোচ্চ ১.৫ লক্ষ টাকা ছাড় পেতে পারেন।

কোথায় খোলা যাবে অ্যাকাউন্ট

পিপিএফ স্কিমে বিনিয়োগ করতে চাইলে আপনি যেকোনো সরকারি বা বেসরকারি ব্যাঙ্ক বা পোস্ট অফিসে অ্যাকাউন্ট যেতে পারেন।

আরও পড়ুন: দেশ জুড়ে ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট খোলার হিড়িক! কারণ কী

বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখেন ১০ থেকে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাংবাদিকরা। সমস্ত তথ্য যাচাই করে তবে বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.