ফের বাড়ল ভারতের বিদেশি মুদ্রা ভাণ্ডার, ২২ মাস টানা বৃদ্ধির পর থিতু ৬২,২৪৬ কোটি ডলারে

ফের বাড়ল ভারতের বিদেশি মুদ্রা ভাণ্ডার (foreign exchange reserves)। এই মুহূর্তে যা শেষ ২২ মাসের চেয়ে সর্বোচ্চ অবস্থানে। শেষ সপ্তাহে ভারতের বিদেশি মুদ্রা ভাণ্ডার ৫৭৩ কোটি ডলার বেড়েছে।

শুক্রবার আরবিআই জানায়, ২ফেব্রুয়ারি শেষ হওয়া সপ্তাহে দেশের বিদেশি মুদ্রা ভাণ্ডার থিতু হয়েছে ৬২,২৪৬ কোটি ডলারে। মূলত বিদেশি মুদ্রা সম্পদের বৃদ্ধির ফলেই এই উত্থান। এমনটাই জানিয়েছে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (RBI)-এর পরিসংখ্যান।

এটি বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডারের ২২ মাসের সর্বোচ্চ স্তর। এর আগের সপ্তাহেও (২৬ জানুয়ারি) বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৫৯.১ কোটি ডলার বেড়েছিল। আরবিআই-এর তথ্য অনুসারে, ২ ফেব্রুয়ারি শেষ হওয়া সপ্তাহে বৈদেশিক মুদ্রা সম্পদ (FCA) ৫১৮.৬ কোটি ডলার বেড়েছে।

গত সপ্তাহে আইএমএফের কাছে আমানতের কোনো পরিবর্তন হয়নি। বলে রাখা ভালো, ২০২১ সালের অক্টোবরে, বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডার সর্বকালের সর্বোচ্চ ৬৪,৫০০ কোটি ডলারে পৌঁছেছিল। এরপর ডলার বিক্রির কারণে তা কমে যায়।

মার্কিন ডলার, ইউরো, পাউন্ড স্টার্লিং, অস্ট্রেলিয়ান ডলার, ইত্যাদির মতো বিভিন্ন মুদ্রায় ধারণ করা হয় ভারতের বৈদেশিক মুদ্রা ভাণ্ডার। এ ক্ষেত্রে অন্যান্য মুদ্রা প্রধান আন্তর্জাতিক মুদ্রা বা মার্কিন ডলারের মূল্য বৃদ্ধির বিপরীতে ধারণকৃত সম্পদের তুলনামূলক মূল্য নির্ধারিত হয়।

ফরেক্স মার্কেটের অংশগ্রহণকারীদের মতে, ভারতীয় রুপি স্থিতিশীল হওয়ায় ডলার কিনতে হস্তক্ষেপ করেছে আরবিআই। যে কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডারে এই বৃদ্ধি ধরা পড়ছে।

গত বছরের শেষ কয়েক মাস ধরে ডলারের তুলনায় দুর্বল থেকে দুর্বলতর হয়েছে ভারতীয় টাকা। ভেঙেছে একের পর এক সর্বকালীন সর্বনিম্ন রেকর্ড। ডলার ক্রমশ শক্তিশালী হওয়ার কারণে তীব্র চাপের মধ্যে রয়েছে অন্যান্য মুদ্রাগুলিও। আমদানিকারকদের কাছ থেকে ডলারের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে নতুন বছরে সেই পরিস্থিতির কিছুটা হলেও বদল দেখা যাচ্ছে।

আরও পড়ুন: ভোটের ফলাফলের দিকে তাকিয়ে কোন মিউচুয়াল ফান্ড স্কিমগুলিতে বিনিয়োগ করা উচিত?

বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখেন ১০ থেকে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাংবাদিকরা। সমস্ত তথ্য যাচাই করে তবে বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.