কলকাতা: ঘাটতি মিটিয়ে আসন্ন রবি মরসুমে সারের (Fertilizer) জোগান ঠিক রাখতে আগেভাগেই তৎপর হল নবান্ন (Nabanna)। খরিফ মরসুমে (Kharif) সারের অভাবে মার খেয়েছিল চাষ। এ বার যাতে তেমন সমস্যা না হয় সে বিষয়ে পদক্ষেপ করল কৃষি দফতর।
সমস্যা কোথায়
বুধবার ২০টি সার উৎপাদক সংস্থা এবং ডিলারের সঙ্গে বৈঠক করলেন কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়-সহ (Sovandeb Chattopadhyay ) দফতরের কর্তারা। সেখানে ঘাটতি মিটিয়ে আসন্ন মরসুমে সারের জোগান ঠিক রাখার অনুরোধ জানানো হয়েছে। প্রয়োজনে রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও কথা বলবে রাজ্য।
কৃষিমন্ত্রী জানিয়েছেন, খরিফে (Kharif) যতটা ইউরিয়া এবং এনপিকে সারের প্রয়োজন ছিল, তার কাছাকাছি পেয়েছিল রাজ্য। কিন্তু ডিএপি বা এমওপির জোগান ছিল কম। এ ব্যাপারে রাজ্য উৎপাদক এবং ডিলারদের মতামত জানতে চেয়েছিল। তাদের দাবি, রেক কম পাওয়ার কারণে এই সমস্যা। রাজ্যের বক্তব্য, রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তারা কথা বলুক। দরকারে রাজ্যও কেন্দ্রীয় সার মন্ত্রক এবং রেলের সঙ্গে কথা বলবে। তবে সারের দাম যেন মাত্রাছাড়া না হয়।
কী বলছেন কৃষিমন্ত্রী
বৈঠকের পরে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘‘এ বার সারের জোগান বেশি থাকবে। কিছু চাষ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। রেক নিয়ে কিছু সমস্যা রয়েছে। রেলের সঙ্গে কথা হবে। তবে উৎপাদক এবং ডিলারদেরও দায়িত্ব থেকে যায়। অক্টোবরে ঘাটতি রয়েছে। ঘাটতি মিটিয়ে নভেম্বরের জোগান ঠিক রাখতেই হবে। রবি চাষে কোনও সমঝোতা করা যাবে না। এই মরসুমটা দীর্ঘ।’’
কৃষকদের ক্ষতিপূরণে জোর
এ দিন শস্যবিমা নিয়েও বৈঠক হয়। মন্ত্রী জানান, কৃষকদের ক্ষতিপূরণ ঠিক সময়ে দিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে জোর দেওয়া হয়েছে। নাবার্ডকে (Nabard) আরও বেশি করে যুক্ত করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: টাকার দামে পতন ঠেকাতে গিয়ে বিদেশি মুদ্রার ভাঁড়ারেও বড়ো পতন