বিবি ডেস্ক: পরিসংখ্যান বলছে, দেউলিয়া আইন (Loan Defaulter) চালু হওয়ার পর থেকে তার আওতায় গত জুন পর্যন্ত মোট ৩৭৪টি সংস্থা নিজেদের গুটিয়ে ফেলেছে। তাদের মোট ঋণের পরিমাণ ছিল ৭১ হাজার ৭৬৬ কোটি ৩ লক্ষ টাকা। কিন্তু গুটিয়ে নেওয়ার পরে আদায় হয়েছে মাত্র দু’হাজার ৯৩৬ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা। এই পরিসংখ্যানই বদলে দিতে নিয়মে বদল আনল দেউলিয়া পর্ষদ। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, এ বার থেকে কোনও দেউলিয়া হয়ে যাওয়া সংস্থার ক্রেতা পাওয়া না গেলে, সেটি গুটিয়ে নেওয়ার আগে তার এক বা একাধিক অংশ বিক্রি করা যাবে।
নিয়মে কী বদল
দেউলিয়া পর্ষদের নতুন নিয়ম অনুযায়ী, শোধ করতে না পারা ঋণ মেটানোর জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থায় নিযুক্ত কর্তৃপক্ষ (ইনসলভেন্সি প্রফেশনাল) (Insolvency Professional) সেখানকার সম্পত্তি আলাদা আলাদা ভাবে বিক্রি করে টাকা তুলতে পারবেন। দেউলিয়া সংস্থাটি গুটিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া চলাকালীন ঋণদাতাদের কমিটিও তার মালিক বা কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করে বকেয়া ঋণের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করতে পারবে। দেউলিয়া পর্ষদ সম্প্রতি এই মর্মে সংশ্লিষ্ট আইনটি সংশোধন করেছে।
কেন নিয়মে বদল
বিশেষজ্ঞদের মতে, দেউলিয়া আইনের লক্ষ্য শুধু বকেয়া ঋণ উদ্ধার নয়। সেই সঙ্গে আর্থিক ভাবে ভেঙে পড়া সংস্থাটিকে বাঁচিয়ে রাখাও। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, বহু ক্ষেত্রে ঋণের সমস্যা মেটাতে সংস্থাকে গুটিয়ে ফেলতে হচ্ছে। এতে এক দিকে যেমন সেখানকার কর্মীরা কাজ হারাচ্ছেন, তেমনই অন্য দিকে ব্যাহত হচ্ছে শিল্পের সম্প্রসারণ। তাঁদের মতে, নতুন ব্যবস্থায় অনেক সংস্থাকে গুটিয়ে না নিয়েও তার বকেয়া ঋণ চোকানো সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন: প্রবীণ নাগরিকদের ফিক্সড ডিপোজিটের সময়সীমা বাড়াল এসবিআই! জানুন বিস্তারিত