বিবি ডেস্ক: আশঙ্কা ছিলই। সেই আশঙ্কাই সত্যি করে এ বার ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হার আরও কমিয়ে দিল এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক (এডিবি) (Asian Development Bank) (ADB)। কারণ হিসাবে দেখানো হল মূল্যবৃদ্ধির চাপ, তাকে বাগে আনতে সুদের হার বৃদ্ধি এবং শ্লথ বিশ্ব অর্থনীতির প্রভাব।
বৃদ্ধির আশা কতটা
সম্প্রতি এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী চলতি অর্থবর্ষে দেশের সাড়ে সাত শতাংশ বৃদ্ধির আশার কথা শুনিয়েছেন। মঙ্গলবার কেন্দ্রের মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা ভি অনন্ত নাগেশ্বরনও জানান, বৃদ্ধির হার সাত শতাংশের উপরে থাকা নিশ্চিত। ওয়াকিবহাল মহলের বক্তব্য, এডিবির বার্তায় প্রধানমন্ত্রী এবং মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টার আশা না মেলারই ইঙ্গিত আরও স্পষ্ট হল।
গত সপ্তাহে মূল্যায়ন সংস্থা ফিচ রেটিংস পূর্বাভাস সাত শতাংশে নামিয়েছিল। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ৭.২ শতাংশ বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে। বস্তুত, মূল্যায়ন ও ব্রোকারেজ সংস্থাগুলি ইঙ্গিত দিয়েছে, মূল্যবৃদ্ধি ও যুদ্ধের মতো প্রতিকূল শর্তগুলির উন্নতি না হলে বৃদ্ধির হার সাত শতাংশের নীচে নামারও ঝুঁকি রয়েছে। উল্লেখ্য, গত এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকে ভারতের জিডিপি (GDP) বৃদ্ধির হার ছিল সাড়ে ১৩ শতাংশ। তবে তা অনেকেরই প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি।
কী বলছে এডিবি
বুধবার এডিবির এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক রিপোর্টের দ্বিতীয় সংশোধনীতে জানানো হয়েছে, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ভারতের জিডিপি (GDP) বৃদ্ধির হার দাঁড়াতে পারে সাত শতাংশ। এপ্রিলে প্রথম বার রিপোর্ট পেশের সময় তারা সাড়ে সাত শতাংশ বৃদ্ধির কথা বলেছিল। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে সারা বিশ্বে সরবরাহ ব্যবস্থা যখন বিপর্যস্ত, সেই সময় জুলাইয়ের প্রথম সংশোধনীতে সেই পূর্বাভাস ছেঁটে ৭.২ শতাংশে নামানো হয়।
এ বার ফের তা ২০ বেসিস পয়েন্ট কমানো হল। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের পূর্বাভাসও দু’বার কমিয়েছে এডিবি। প্রথমে আট শতাংশ থেকে ৭.৮ শতাংশ। আর এ দিন আরও কমিয়ে ৭.২ শতাংশ। তবে একই দিনে এসঅ্যান্ডপি (S&P) জানিয়েছে, আমেরিকা ও ইউরোপে মন্দার আশঙ্কা থাকলেও ভারতে তেমন সম্ভাবনা নেই। সারা বিশ্বের অস্থিরতার প্রভাব এ দেশে অনেক কম পড়বে।
আরও পড়ুন: ঋণ শোধ করতে আংশিক বিক্রিতে অনুমতি, সংস্থা বাঁচাতে পদক্ষেপ করল পর্ষদ