বৃহস্পতিবার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ৮ শতাংশের বেশি কমেছে জনপ্রিয় ক্রিপ্টোকারেন্সি বিটকয়েনের দাম। এর জেরে শেষ দু’মাসের সর্বনিম্ন স্তরে পৌঁছে গিয়েছে এই ক্রিপ্টো। কী কারণে?
গত বছরের নভেম্বরের সবচেয়ে দু:সময়ের মুখোমুখি হয়েছিল বিটকয়েন। তার পর থেকে চলতি সপ্তাহে সবচেয়ে খারাপ সপ্তাহের পথে দিয়ে যেতে হল বিনিয়োগকারীদের। পাশাপাশি অন্যান্য সমস্ত ক্রিপ্টোকারেন্সির দামেও পতনের সূত্রপাত ঘটে গিয়েছে।
বিটকয়েনের মতিগতি
ব্লুমবার্গ-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, বিটকয়েন এবং অন্যান্য ক্রিপ্টোকারেন্সির দামে এই পতন দীর্ঘ সময়ের জন্য উচ্চ-সুদের হার এবং ক্রিপ্টো কেনাবেচায় অনাগ্রহের সম্ভাবনার কারণে হতে পারে।
এফআরএনটি ফিনাসিয়ালের স্টিফেন ওলেটের মন্তব্য উদ্ধৃত করে ব্লুমবার্গের রিপোর্টে বলা হয়েছে, এ বছর বিটকয়েনের যত বার পতন হয়েছে, প্রত্যেক বারই পুনরুদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে। আগামী কয়েক দিন বিক্রি অব্যাহত থাকবে কিনা সে সম্পর্কে এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়। এই প্রবণতার বিপরীত কিছু দেখার সম্ভাবনাও রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ক্রিপ্টোকারেন্সি ২৫ হাজার ডলারের নীচে চলে গেলেও বিটকয়েনের ক্ষেত্রে এ বছরের প্রবণতা একটা পার্থক্য তৈরি করছে। বিটকয়েন যদি ৩০ হাজার ডলারের গণ্ডি অতিক্রম করে তবে তা এ বছরের সর্বোচ্চ ৩১,৮১৮ ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে।
কেন বিটকয়েনের দাম কমছে?
এনিগমা সিকিউরিটিজের গবেষণার প্রধান জোসেফ এডওয়ার্ডসের মন্তব্য উদ্ধৃত করে রয়টার্স-এর রিপোর্টে বলা হয়েছে, বাজারে এখন অস্থিরতা তুলনামূলক কম এবং খুচরো বিনিয়োগকারীদের উৎসাহের অভাবকে বিটকয়েনের দামের পতনের জন্য দায়ী করা যেতে পারে।
অন্য দিকে, ব্লকচেইন ডেটা ফার্ম কাইকোর রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্ট রিয়াদ কেরির মতে, বৃহত্তর ট্রেডের বাজারের এক্সপোজারের জন্য এই সপ্তাহে ক্রিপ্টোকারেন্সির দাম কমে যাওয়ার কারণ হতে পারে। উল্লেখ্য, ক্রিপ্টো ট্রেডিংয়ে গত চার মাসে সর্বনিম্ন গড় দৈনিক ভলিউম দেখা গেছে।
আরও পড়ুন: বন্ধন নিফটি আইটি ইনডেক্স ফান্ড চালু করল বন্ধন ব্যাঙ্ক, বিনিয়োগে কী লাভ? জানুন বিস্তারিত