আর্থিক লেনদেনের একটি সুরক্ষিত মাধ্যম ব্যাঙ্ক চেক (Cheque)। প্রাপককে চেকের মাধ্যমে টাকা মেটাতে পারেন প্রদানকারী ব্যক্তি। কিন্তু কোনো কারণে চেক জমা করার পরে প্রাপক যদি প্রাপ্য অর্থ না পান, তা হলে ধরে নিতে হবে চেকটি বাউন্স বা ডিজঅনার হয়েছে। বিভিন্ন কারণে চেক বাউন্স হতে পারে। জেনে নেওয়া যাক এর অন্যতম সাধারণ কারণগুলি।
চেক বাউন্স কী
ইস্যুকারী ব্যক্তির কাছ থেকে পাওয়া চেক ব্যাঙ্কে জমা করেন প্রাপক। এর পর যদি ব্যাঙ্ক চেকে উল্লিখিত অর্থ দিতে অস্বীকার করে, তবে তাকে চেক বাউন্স বা চেক ডিজঅনার বলা হয়।
এ ধরনের ঘটনা ঘটলে চেক প্রদানকারীকে অবহিত করবেন প্রাপক। এর কারণ জিজ্ঞাসা করতে হবে। কথা বলার পর জটিলতা মিটলে তিন মাসের মধ্যে চেকটি ফের জমা দেওয়া যায়। কিন্তু দ্বিতীয় বারেও বাউন্স করলে ইস্যুকারীর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে পারেন প্রাপক।
যে ৫টি সাধারণ কারণে চেক বাউন্স হতে পারে
১. অপর্যাপ্ত তহবিল
চেক ইস্যুকারী ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে যদি পর্যাপ্ত অর্থ না থাকে, তা হলে চেক বাউন্স হতে পারে। সবচেয়ে বেশি চেক বাউন্স হয় এই কারণেই। এ ক্ষেত্রে প্রদানকারী এবং প্রাপকের কাছ থেকে জরিমানা আদায় করতে পারে ব্যাঙ্ক।
২. স্বাক্ষর না মিললে
চেক ক্লিয়ার করার আগে প্রদানকারীর স্বাক্ষর যাচাই করা হয়। ফলে ব্যাঙ্কের রেকর্ডে থাকা প্রদানকারীর স্বাক্ষর চেকের সঙ্গে না মিললে তা বাউন্স হয়ে যায়। প্রাপককে টাকা দিতে অস্বীকার করে ব্যাঙ্ক।
৩. চেকের তারিখে গরমিল
চেকের তারিখ হল গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। চেকের তারিখ যদি কাটাকুটি করা হয়, পুরনো হয় তা হলে সেটি বাতিল হতে পারে।
৪. ছেঁড়া, মুচড়ানো চেক
ছিঁড়ে গিয়েছে বা মারাত্মক ভাবে মুচড়ানো চেক প্রত্যাখান করতে পারে ব্যাঙ্ক। এর ফলে চেকে লেখা বিবরণগুলি অস্পষ্ট হয়ে যায় বা দাগ লেগে যায়। ফলে ব্যাঙ্কে জমা করার আগে চেকের প্রতি যত্নবান হতে হয়।
৫. ওভাররাইটিং
চেকের উপর ওভাররাইটিং চলে না। এ ধরনের চেক প্রত্যাখ্যান করে ব্যাঙ্ক। কারণ, এক্ষেত্রে চেকটি সন্দেহজনক বলে মনে হতে পারে।
আরও পড়ুন: পোস্ট অফিসের এই স্কিমগুলিতে ৭ শতাংশের বেশি সুদ! বিনিয়োগের আগে দেখুন সম্পূর্ণ তালিকা