হিনডেনবার্গের রিপোর্টের (Hindenburg Report) পর টানা ধসের মুখ পড়েছিল আদানির গোষ্ঠীর (Adani group) সব স্টক। যদিও সোমবার থকেই ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে কিছু স্টক। মঙ্গলবার ভারতীয় শেয়ার বাজারে প্রায় ২৫ শতাংশ উঠে যায় আদানি এন্টারপ্রাইজ (Adani Enterprises)। বুধবারেও সেই একই ছবি। কী ভাবে এই ইউ-টার্ন?
পর পর দু’দিন নাটকীয় উত্থান!
গত সপ্তাহে টানা কয়েক লক্ষ কোটি টাকা হারানোর পর দুরন্ত গতি ধরেছে আদানি গ্রুপের কিছু স্টক। মঙ্গলবার শেয়ার বাজারে কেনাবেচার একটা সময় ২৫ শতাংশ ওপরে উঠে যায় আদানি এন্টারপ্রাইজের স্টকের দাম। বুধবার সেই ধারাই অব্যাহত!
বুধবারেও আদানি এন্টারপ্রাইজের শেয়ারের দাম বেড়েছে ২০ শতাংশ। আগের দিন যেখানে ১,৮০২ টাকায় বন্ধ হয়েছিল, এ দিন বেলা গড়ানোর সঙ্গেই তা ছুঁয়ে ফেলে ২,১৬৩ টাকার সীমা। আশ্চর্যজনক ভাবে আদানিদের শেয়ারের দামে এই বড় বৃদ্ধি কিন্তু পর পর দু’দিন হল।
হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই শেয়ার বাজার থেকে আদানি শিল্পগোষ্ঠীর ১.৪৪ লক্ষ কোটি টাকা উধাও হয়ে গিয়েছিল। গত ৩ ফেব্রুয়ারি যে শেয়ারের দাম সাড়ে ৩ হাজার টাকা থেকে কমতে কমতে ১০০০ টাকার ঘরে নেমে এসেছিল, বুধবার সেই শেয়ারেরই দাম টপকে গেল ২১০০ টাকা। এ ক’দিনে আদানি এন্টারপ্রাইজের শেয়ারে ১০২ শতাংশের বেশি উত্থান ঘটেছে। ৫২ সপ্তাহের সর্বনিম্ন ১,০১৭ টাকা থেকে স্টকটি উঠে এসেছে দ্বিগুণেরও বেশি।
আদানি এন্টারপ্রাইজের শেয়ারে কী ভাবে ইউ-টার্ন?
হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টে আদানি যে ধাক্কা খেয়েছিল, তা কতটা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়েছে, তা এখনই বলা সম্ভব নয়। কিন্তু বিশ্লেষকদের মতে, আদানিরা এখনও সিইএমবিআই, জেএসিআই এবং জেইএসজির সূচকাঙ্কের জন্য উপযুক্ত। ইনডেক্সের নিয়ম অনুযায়ী আদানির সংস্থা এই ইনডেক্সগুলিতে ব্যবসা করতে পারবে। বাজারে আরও এগিয়ে যেতেও পারবে। অন্তত পক্ষে ঋণখেলাপি না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা চলবেই।
তবে এটাও লক্ষ্যণীয় বিষয় যে, স্টকের দামে এই প্রত্যাবর্তন সত্ত্বেও, এখনও নিজের ৫২ সপ্তাহের সর্বোচ্চ ৪,১৮৯ টাকার (গত ২০২২ সালের ডিসেম্বরে) প্রায় ৫১ শতাংশ নীচে লেনদেন করছে এই স্টক। মাত্র এক মাসের মধ্যেই ৪৬ শতাংশ কমেছে আদানি এন্টারপ্রাইজের স্টকের দাম।
আরও পড়ুন: কলকাতা-সহ দেশের ৮টি বড়ো শহরে বেড়েছে আবাসনের দাম