বাংলাbiz ডেস্ক: করোনার টিকা (covid vaccine) থেকে প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্ক, ‘আত্ননির্ভর ভারত’ থেকে কাশ্মীর প্রসঙ্গ উঠে এল স্বাধীনতা দিবসে (Independence Day) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (PM Modi) বক্তৃতায়।
শনিবার লালকেল্লা থেকে জাতির উদ্দেশে তাঁর উপর্যুপরি সপ্তম ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমস্ত ভারতীয়ের জন্য ন্যূনতম সময়ে কী ভাবে করোনা টিকা নিয়ে আসা যায় তার রোডম্যাপ সরকার তৈরি করে রেখেছে। বিজ্ঞানীদের কাছ থেকে সবুজ সংকেত পেলেই ভারত জনসাধারণের জন্য করোনা টিকার উৎপাদন শুরু করে দেবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারতে (India) তিনটি করোনা টিকা পরীক্ষার বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে। এ ব্যাপারে বিজ্ঞানীদের অনুমোদন পাওয়ার অপেক্ষা। কী ভাবে টিকার উৎপাদন হবে এবং কী ভাবে তা ভারতীয়দের মধ্যে বিতরণ করা হবে তার রোডম্যাপ প্রস্তুত। আমাদের আগাম পরিকল্পনা অনুযায়ী, প্রত্যেকটি ভারতবাসীকে টিকাকরণের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।”
এ দিন লালকেল্লা থেকে ভাষণে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রথম সারি যোদ্ধাদের একাধিক বার প্রশংসায় ভরিয়ে দেন তিনি। করোনার যোদ্ধাদের অক্লান্ত অবদানের কথা স্মরণ করেন। অন্য দিকে তিনি আক্ষেপ করে বলেন, দেশের ভবিষ্যৎ শিশুরা। অন্য বার এই অনুষ্ঠানে তাদের অংশগ্রহণ বাঁধা থাকলেও এ বার কোভিড-১৯ মহামারির কারণে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
তাঁর কথায়, “আমরা একটা অন্য রকমের সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। লালকেল্লায় আজ আমি নিজের সামনে শিশুদের দেখতে পাচ্ছি না। করোনা সবাইকেই থামিয়ে দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে করোনা যোদ্ধারা ‘সেবা পরম ধর্ম’ মন্ত্রকে সঙ্গে নিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। সারা দেশের মানুষকে পরিষেবা দিচ্ছেন। আমি তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছি।”
নীতি আয়োগের প্রধান ড. ভি কে পালের নেতৃত্বাধীন করোনা টিকা প্রশাসন সংক্রান্ত জাতীয় কমিটি চলতি সপ্তাহের গোড়ার দিকে প্রথম বৈঠকে বসে। জনসাধারণের কোন অংশকে আগে টিকা দেওয়া হবে, সেই বিষয়টি ঠিক করার পাশাপাশি টিকা বাছাই, সংগ্রহ এবং বিতরণ নিয়েও আলোচনা হয়।
দেশে তিনটে করোনা টিকা মানবশরীরে পরীক্ষার বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে। ভারত বায়োটেক এবং জাইডাস ক্যাডিলার টিকা দু’টির মানবশরীরে পরীক্ষা চলছে। অ্যাস্ট্রাজেনেকাকে পার্টনার করে পুনের সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া যে টিকা বানাচ্ছে, তা মানবশরীরে পরীক্ষার দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ে রয়েছে।