বিমা পলিসি কেনার পর বিভিন্ন কারণে তা হয়তো ছেড়ে দেওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে। এমন পরিস্থিতি পলিসি সারেন্ডারের সুযোগও দিয়ে থাকে দেশের বৃহত্তম বিমা সংস্থা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া বা এলআইসি (LIC)। এর জন্য মেনে চলতে হয় নির্দিষ্ট নিয়ম।
পলিসি সারেন্ডারের নিয়ম
এমনও হতে পারে কোনো একটা পলিসি কেনার পর সেটা আপনার পছন্দ হচ্ছে না। অথবা, আর্থিক কারণে প্রিমিয়াম জমা করতে পারছেন না। কিংবা, ওই একই প্রিমিয়ামে আপনি অন্য কোনো ভালো পলিসির সুযোগ পাচ্ছেন। বিভিন্ন ব্যক্তিগত কারণে যে কেউ পলিসি সারেন্ডার করতে পারেন। এতে প্রিমিয়াম আকারে জমা করা টাকা আপনি ফেরত পাবেন। তবে, এর জন্য কিছু শর্ত তো আছেই।
যেমন ধরুন, পলিসি কেনার তিন বছরের মধ্যে সেটা সারেন্ডার করতে চাইলে এক পয়সাও মিলবে না। তবে, তিন বছর প্রিমিয়াম দেওয়ার পর সারেন্ডার করলে সারেন্ডার ভ্যালু অনুযায়ী টাকা ফেরত পাবেন। পলিসি নেওয়ার সময় এলআইসি একটি সারেন্ডার ভ্যালু নির্ধারণ করে। নীতিমালা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত হয়। আপনি যদি তিন বছর পর পলিসি ফেরত দেন, আপনি সেই সারেন্ডার ভ্যালু পাবেন। এলআইসি নির্ধারিত নিয়মে এই সারেন্ডার ভ্যালু স্থির হয়।
মাথায় রাখবেন, মাঝপথে পলিসি ছেড়ে বেরিয়ে আসা মানেই আর্থিক লোকসান। ফলে ভবিষ্যতের কথা ভেবে অত্যন্ত প্রয়োজন না হলে পলিসি সারেন্ডার করা উচিত নয়।
পলিসি সারেন্ডারের জন্য কী কী নথি প্রয়োজন
১. পলিসি বন্ড নথি প্রয়োজন হবে
২. এলআইসি সারেন্ডার ফর্ম
৩. এলআইসি এনএফইটি ফর্ম-৫০৭৪
৪. আপনার ব্যাঙ্কের বিবরণ
৫. আইডি প্রুফ যেমন আধার কার্ড, প্যান কার্ড এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স
৬. বাতিল চেক
৭. পলিসি সারেন্ডারের কারণ দেখিয়ে এলআইসির কাছে একটি আবেদন।
এলআইসি পলিসি সারেন্ডারের পদ্ধতি
১. এলআইসি পলিসি সারেন্ডার করতে, এলআইসি শাখায় যান এবং এলআইসি সারেন্ডার ফর্ম, এনইএফটি ফর্ম নিন
২. ফর্মগুলি পূরণ করুন এবং এটি আপনার প্যান কার্ড এবং পলিসি বন্ডের সঙ্গে সংযুক্ত করুন
৩. আপনি কেন এই পলিসি ছেড়ে দিচ্ছেন, সেটার কারণ লিখে একটি আবেদন জমা দিন।
৪. এর পরে, এলআইসি সমস্ত নথি পরীক্ষা করবে এবং সারেন্ডার ভ্যালু অনুযায়ী পলিসির অর্থ ফেরত দেবে।
আরও পড়ুন: টিকিট সঙ্গে থাকলেও কি স্টেশনে জরিমানার মুখে পড়তে হয়?