বিবি ডেস্ক: বিভিন্ন রোগের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য বিমা বা মেডিক্যাল ইন্সুরেন্সের সুবিধা নতুন করে বলার নয়। তবে বিগত দু’বছর ধরে করোনা অতিমারির কারণে, ভারতে মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। স্বভাবতই প্রশ্ন, মানসিক সমস্যায় কি স্বাস্থ্য বিমার সুবিধা পাওয়া যায়?
বদলেছে পরিস্থিতি
সাম্প্রতিক অতীতি স্বাস্থ্য বিমা সংস্থাগুলি মানসিক সমস্যাকে স্বাস্থ্য বিমার অন্তর্ভুক্ত করত না। তবে এখন পরিস্থিতি বদলেছে। ধীরে ধীরে অনেক বিমা সংস্থাই মানসিক স্বাস্থ্যকেও বিমা পলিসিতে অন্তর্ভুক্ত করা শুরু করেছে। ভারতীয় বিমা নিয়ন্ত্রক ও উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (IRDAI) নির্দেশের পরে এই পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে সংস্থাগুলি। কর্তৃপক্ষের ওই নির্দেশিকায় বিমাকারীদের বিমা পলিসিতে মানসিক স্বাস্থ্য অন্তর্ভুক্ত করতে বলা হয়েছিল।
কোন কোন সংস্থা এই সুবিধা দিচ্ছে
আইআরডিএ-এর নির্দেশ অনুসরণ করে, কিছু সংস্থা নিজেদের স্বাস্থ্য বিমা পলিসিতে মানসিক স্বাস্থ্যকে কভার করা শুরু করেছে। বর্তমানে, ম্যাক্স বুপা হেলথ ইন্স্যুরেন্স, আইসিআইসিআই লম্বার্ড, আদিত্য বিড়লা হেলথ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি, এইচডিএফসি এরগো জেনারেল ইন্স্যুরেন্স এবং ডিজিট জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের মতো সংস্থাগুলিও মানসিক স্বাস্থ্যে ভুগছেন এমন ব্যক্তিদের জন্য বিশেষ স্বাস্থ্য বিমা পলিসি তৈরি করা শুরু করেছে।
যে বিষয়গুলি মাথায় রাখবেন
আপনি যদি স্বাস্থ্য বিমা কভারে মানসিক স্বাস্থ্যও অন্তর্ভুক্ত করেন, তবে আপনার কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা উচিত। প্রথমত, এটাতে হাসপাতালে ভর্তি সংক্রান্ত কভারেজ থাকা উচিত। দ্বিতীয় ওপিডিও কভার করা উচিত। এর সুবিধা হল যদি হাসপাতালে যেতে হয়, তা হলে সমস্ত খরচ বিমা সংস্থার মাধ্যমে কভার করা হবে।
বলে রাখা ভালো, যে কোনো স্বাস্থ্য বিমার পুনর্নবীকরণের বিষয়টিই সব থেকে গুরুত্ব পূর্ণ। কিন্তু বহুক্ষেত্রেই এটা অবহেলার শিকার হয়ে থাকে। কোনো বিষয় থেকে সাময়িক অনুপ্রাণিত হয়ে প্রথমবার স্বাস্থ্য বিমা করানো হল। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ে তার কভারেজ সীমা সমাপ্ত হয়ে যাওয়ার পর পুনর্নবীকরণের বিষয়টি নিয়ে অনেকেই অনিচ্ছা দেখান। বা গুরুত্বই দিতে চান না। কিন্তু প্রথম বারের প্রিমিয়াম থেকে যদি কোনো রকমের চিকিৎসা পরিষেবা না নেওয়ার প্রয়োজনও পড়ে, পরের বার তা লাগবে না, কে গ্যারান্টি দিতে পারে।
আরও পড়ুন: মানতে হবে কয়েকটি শর্ত, তা হলেই আস্ত ব্যাঙ্কের মালিকানা দেবে মোদী সরকার