বেড়েই চলেছে দাম, পাল্লা দিয়ে বাড়ছে চাহিদা, আবাসনই কি বিনিয়োগের সেরা পছন্দ?

বিবি ডেস্ক: সরবরাহ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হওয়ায় অতিমারি (Pandemic) পর্বেই নির্মাণ সামগ্রীর দাম বাড়তে শুরু করেছিল। তা সত্ত্বেও সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের পর চাহিদার পালে হাওয়া লাগে। তার জেরে সম্পত্তির দাম বাড়ে আরও এক ধাপ। এরই মধ্যে মূল্যবৃদ্ধিতে লাগাম পরাতে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক (Reserve Bank) একাধিক বার সুদের হার বাড়ানোয় গৃহঋণের (Home Loan) খরচ বেড়েছে। বাড়ছে ঋণের কিস্তি।

কাদের সমীক্ষা

অতিমারির পর বাড়ি-ফ্ল্যাটের দাম বেড়েছে। মাথা তুলেছে ঋণে সুদের হার। কিন্তু স্থায়ী ঠিকানার চাহিদা এবং বাড়ি থেকে কাজের পরিধি বৃদ্ধি পাওয়ায় আবাসনের (Housing) চাহিদাও বাড়ছে। এর ফলে আগামী দিনে সেই দাম আরও বাড়তে পারে বলে এক সমীক্ষায় মত জানালেন সম্ভাব্য ক্রেতারা। এই অবস্থায় মানসিকতার আঁচ পেতে সম্প্রতি হাজারখানেক সম্ভাব্য ক্রেতার মধ্যে সমীক্ষা চালিয়েছিল আবাসন ক্ষেত্রের সংগঠন নারেডকো (Naredco) এবং আবাসন পোর্টাল‌ হাউসিং ডট কম (https://housing.com/)। তাতে প্রায় ৪৮ শতাংশ জানিয়েছেন, তাঁদের ধারণা আগামী দিনে সম্পত্তির দাম আরও বাড়বে। ৫৮ শতাংশ রয়েছেন তৈরি ফ্ল্যাটের সন্ধানে।

কী বলছে সমীক্ষা

সমীক্ষার রিপোর্টে আরও উঠে এসেছে, অনিশ্চিত পরিস্থিতিতে মাথা গোঁজার ঠাঁই যেমন অনেকের কাছে গুরুত্ব পাচ্ছে, তেমনই লগ্নির ক্ষেত্র হিসেবেও আকর্ষণ বাড়ছে আবাসনের। সে সবও দাম বৃদ্ধিতে ইন্ধন জোগাতে পারে। সম্ভাব্য ক্রেতাদের ৪৭ শতাংশ জানিয়েছেন, তাঁদের কাছে পছন্দের লগ্নি ক্ষেত্র আবাসন। ২১ শতাংশ শেয়ার বাজারে, ১৬ শতাংশ স্থায়ী আমানতে এবং ১৫ শতাংশ সোনায় লগ্নি করতে আগ্রহী। ৭৩ শতাংশ মনে করছেন আর্থিক বৃদ্ধির হার চড়াইয়ের দিকেই থাকবে। যদিও কয়েকটি মূল্যায়ন সংস্থা বৃদ্ধির পূর্বাভাস কমিয়েছে।

কী বলছেন সমীক্ষকরা

হাউসিং ডট কম (https://housing.com/) গোষ্ঠীর সিইও ধ্রুব আগরওয়ালের দাবি, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের পর আবাসন বাজারের চাকা উল্লেখযোগ্য ভাবে ঘুরেছে। উৎসবের মরসুম-সহ আগামী ত্রৈমাসিকে চাহিদা আরও বাড়বে। নারেডকোর (Naredco) প্রেসিডেন্ট রাজন বান্দেলকরের বক্তব্য, সুদের হার বাড়লেও আবাসন ক্ষেত্র চাঙ্গা।

আরও পড়ুন: মানসিক সমস্যায় কি স্বাস্থ্য বিমার সুবিধা পাওয়া যায়?


Discover more from banglabiz

Subscribe to get the latest posts sent to your email.

বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখেন ১০ থেকে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাংবাদিকরা। সমস্ত তথ্য যাচাই করে তবে বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Discover more from banglabiz

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading