বিবি ডেস্ক: নিট সম্পদ হতে হবে কমপক্ষে ২২ হাজার ৫০০ কোটি টাকার। গত ৫ বছরের মধ্যে অন্তত ৩ বছর নিট মুনাফা করতে হবে। শেয়ার কেনার পরে অধিগ্রহণের দিন থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত বাধ্যতামূলক ভাবে কমপক্ষে ৪০ শতাংশ শেয়ার হাতে রাখতে হবে। মোটামুটি এই কয়েকটি শর্ত মানলেই আস্ত ব্যাঙ্কের মালিকানা চলে আসতে পারে আপনার সংস্থার হাতে। এমনটাই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা।
বেসরকারিকরণ কোন ব্যাঙ্কের
কথা চলছে বহু দিন ধরেই। অবশেষে আইডিবিআই ব্যাঙ্ক (IDBI) বেচতে মাঠে নামল মোদী সরকার। এ জন্য শুক্রবার আগ্রহী ক্রেতাদের কাছ থেকে ইচ্ছাপত্র চাইল তারা। জানাল, অংশীদারিত্ব কেনার সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ক্রেতা ব্যাঙ্ক পরিচালনার রাশও হাতে পাবে। বেসরকারিকরণের (Privatization) পরে সরকার ও এলআইসির (LIC) ঝুলিতে ব্যাঙ্কটির মোট ৩৪ শতাংশ শেয়ার থাকবে। ক্রেতার ইচ্ছাপত্র জমার শেষ দিন ১৬ ডিসেম্বর। যোগ্য ক্রেতা কে এবং শেষ পর্যন্ত তার হাতে আইডিবিআই ব্যাঙ্কের (IDBI) কতটা অংশীদারি রাখতে দেওয়া হবে, সেই সিদ্ধান্ত নেবে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক (Reserve Bank)।
কিনতে পারবে কারা
গত অর্থবর্ষে বাজেট ঘোষণা অনুযায়ী ব্যাঙ্কটিতে সরকারের বাকি শেয়ার বিক্রি ও পরিচালনার রাশ হাতবদলের প্রস্তাবে নীতিগত সায় দিয়েছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বেসরকারিকরণ বাস্তবায়িত হয়নি। এ দিন ইচ্ছাপত্র আহ্বান করার সময় কেন্দ্রীয় লগ্নি ও সরকারি সম্পত্তি পরিচালনা দফতর (দীপম) (DIPAM) জানিয়েছে, ওই ব্যাঙ্কের মোট ৬০.৭২ শতাংশ অংশীদারি বেসরকারি সংস্থার হাতে দেওয়া হবে। এর ৩০.৪৮ শতাংশ কেন্দ্রের, ৩০.২৪ শতাংশ জীবনবিমা নিগমের (এলআইসি) (LIC)।
দাম কত
শুক্রবার বিএসইতে (BSE) আইডিবিআই ব্যাঙ্কের (IDBI) প্রতিটি শেয়ারের দাম ছিল ৪২.৭০ টাকা। সেই হিসাবে ৬০.৭২ শতাংশ অংশীদারি বেচে পাওয়ার কথা ২৭ হাজার ৮০০ কোটি টাকারও বেশি। অধিগ্রহণের পরে ক্রেতাকে সাধারণ লগ্নিকারীদের কাছ থেকে শেয়ার কেনার খোলা প্রস্তাব দিতে হবে।
এখন ব্যাঙ্কে কেন্দ্রের অংশীদারি ৪৫.৪৮ শতাংশ। তারা বছরখানেক আগে এলআইসিকে (LIC) ৪৯.২৪ শতাংশ বেচেছে। অর্থাৎ তাদের মোট শেয়ার ৯৪.৭২ শতাংশ। সাধারণ লগ্নিকারীদের হাতে ৫.২ শতাংশ। আইডিবিআইয়ের (IDBI) শেয়ার বিক্রিতে পরামর্শ দিতে কেপিএমজি ইন্ডিয়া ও লিঙ্ক লিগালকে নিযুক্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আইডিবিবিআই ব্যাঙ্কের ৬০.৭২ শতাংশ অংশীদারিত্ব ছাড়ছে এলআইসি এবং কেন্দ্র