রেকর্ড গড়়েও ‘পুরনো পাপ’-এর জন্য স্বস্তি পেল না রাজ্য। ঘাড় থেকে ঋণের বোঝা কমানোর ক্ষেত্রে সারা দেশের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। কিন্তু তাতেও ঋণ নেওয়া রাজ্যগুলির মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় থাকা প্রথম পাঁচ রাজ্যের মধ্যে রয়েছে বাংলা। এমনটাই জানাচ্ছে দিল্লির ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব পাবলিক ফিনান্স অ্যান্ড পলিসি-র (NIPFP) সদ্য প্রকাশিত রিপোর্ট।
রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর থেকে বামফ্রন্ট জমানার ‘বিপুল ঋণের বোঝা’ নিয়ে বার বার সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। কেন্দ্রীয় রিপোর্ট যেন সেই দাবিকে কিছুটা মান্যতা দিল। রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৫-১৬ থেকে ২০১৮-১৯— এই চার বছরে ঋণের বোঝা কমানোর ক্ষেত্রে সব থেকে ভাল কাজ করেছে পশ্চিমবঙ্গ। যদিও তার পর রাজ্যের ঋণ কিছুটা বেড়েছে। তবে এত ঋণ শোধ করেও রাজ্যের পাঁচ টাকা আয় হলে এক টাকা ব্যয় হয় সুদ মেটাতেই।
জিডিপি (GDP)-এর তুলনায় যে সব রাজ্যের ঋণের হার সবচেয়ে বেশি তাদের মধ্যে করুণতম অবস্থায় .থাকা পাঁচ রাজ্যের অন্যতম বাংলা। কয়েক মাস আগে এমনটাই বলেছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্কের (RBI) রিপোর্ট। পঞ্চদশ অর্থ কমিশন রাজ্যগুলির ঋণের ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দিলেও ২০২০-২১ সালে তার বেশি ঋণ নিয়েছে বাংলা। এনআইপিএফপির (NIPFP) রিপোর্ট অনুযায়ী রাজ্যের ঋণ ২০১৫-১৬ থেকে ২০২০-২১ সালের মধ্যে ১.৬ শতাংশ কমেছে। রাজ্যের বাজেট নথি বলছে, চলতি অর্থবর্ষে ঋণ বাদে রাজস্ব আয়ের ১৯.৭২ শতাংশ লাগবে শুধুমাত্র পুরনো ধারের সুদ মেটাতেই। যার অর্থ, আয়ের পাঁচ ভাগের এক ভাগ খরচ হবে শুধু ঋণের সুদ মেটানোর খাতে।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বর থেকেই বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে আদানি গোষ্ঠী