নয়াদিল্লি: বেআইনি ফোন ট্যাপিং মামলায় প্রাক্তন ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ (NSE) প্রধান রবি নারায়ণ (Ravi Narain)-কে গ্রেফতার করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)।
কে এই রবি নারায়ণ?
প্রাক্তন এনএসই কর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দিল্লিতে ডেকেছিল ইডি। সূত্র বলছে, তদন্তের সময় ইডি আধিকারিকদের সহযোগিতা করেননি রবি। তাঁর বিরুদ্ধে প্রমাণের ভিত্তিতে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তৎকালীন চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার রবি ১৯৯৪ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত এনএসই-র বিভিন্ন পদে যুক্ত ছিলেন।
১৯৯৪ সালের এপ্রিল মাস থেকে ২০১৩ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত এনএসই-র এমডি ও সিইও ছিলেন নারায়ণ। পরে তাঁকে কোম্পানির বোর্ডের নন-এগজিকিউটিভ ক্যাটেগরিতে ভাইস-চেয়রাম্যান নিয়োগ করা হয়। ২০১৩-র ১ এপ্রিল থেকে ২০১৭-র পয়লা জুন পর্যন্ত ওই দায়িত্বে ছিলেন তিনি।
আর্থিক প্রতারণা মামলা
এর আগে মুম্বইয়ের প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার সঞ্জয় পান্ডেকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। অন্য আরেক এনএসই প্রধান চিত্রা রামকৃষ্ণকেও এই মামলায় ইডি জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল। কো-লোকেশন দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে ২০১৮ সালের মে মাসে মামলা রুজু হয়েছিল তাঁর বিরুদ্ধে। এরপর গত ১৪ জুলাই তাঁকে ফোনে আড়ি পাতা মামলায় গ্রেফতার করে ইডি। তিনি এখন তদন্তকারী সংস্থার হেফাজতে রয়েছেন।
সিবিআই (CBI)-এর দায়ের করা একটি এফআইআরের ভিত্তিতে ইডি একটি আর্থিক প্রতারণা মামলার তদন্ত শুরু করেছিল। এই মামলায় নয়াদিল্লি ভিত্তিক আইএসইসি সার্ভিসেস প্রাইভেট লিমিটেড, সন্তোষ পান্ডে, আনন্দ নারায়ণ, আরমান পান্ডে, মনীশ মিত্তাল, নমন চতুর্বেদী (তৎকালীন সিনিয়র তথ্য নিরাপত্তা বিশ্লেষক)-সহ কর্মকর্তা ও ডিরেক্টরদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।
বেআইনিভাবে ফোনে আড়ি পাতা
জানা গেছে, সিবিআইয়ের কাছে পাঠানোর আগে বেআইনিভাবে ফোনে আড়ি পাতার ঘটনায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে একটি রিপোর্ট পাঠিয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। যাতে প্রাক্তন মুম্বই পুলিশ কমিশনার সঞ্জয় পাণ্ডে, রামকৃষ্ণ এবং নারায়ণের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের মামলা করা হয় জুন মাসে।
এরপর সিবিআইয়ের এফআইআরের ভিত্তিতে, আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইনে তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনে ইডি। ২০০৯ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত অভিযুক্ত প্রাইভেট কোম্পানির সঙ্গে যোগসাজশে এই অপরাধটি সংঘটিত হয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বর থেকেই বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে আদানি গোষ্ঠী