বিবি ডেস্ক : দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে জিডিপি বৃদ্ধি হার আরও কমল। জুলাই-সেপ্টেম্বরে গ্রস ডোমেস্টিক প্রডাক্ট (জিডিপি) দাঁড়িয়েছে ৪.৫ শতাংশ। এই বৃদ্ধির হার গত ছ’বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।
শুক্রবার সরকারি ভাবে জিডিপি বৃদ্ধির এই হার ঘোষণা করা হয়েছে। দেখা যাচ্ছে, দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে সরকারি খরচ নির্ভর বৃদ্ধি হয়েছে ১১.৬ শতাংশ। অন্যদিকে আর্থিক পরিষেবা সেকটরে বৃদ্ধি হয়েছে ৫.৮শতাংশ।
জিডিপি বৃদ্ধি হারের এই পতনে একটা বিষয় পরিষ্কার এশিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি মোটেই সুবিধাজনক অবস্থানে নেই। এই পতন আবারও দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্ককে সুদের হার কমানোর পথে হাঁটতে বাধ্য করবে। আগামী ৫ডিসেম্বর অর্থিক পলিসি পর্যালোচনায় বসবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক তখন ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
গ্রাহকের চাহিদা এবং বেসরকারি ক্ষেত্রে বিনিয়োগ দূর্বল হয়ে যাওয়া এর অন্যতম কারণ। এ ছাড়া বিশ্বব্যাপী মন্দার আঘাত ভারতীয় অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে বলে মনে করা হচ্ছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে হাজার হাজার কর্মী ছাঁটাইও অর্থনীতির বৃদ্ধি নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে চিনেরও জিডিপি বৃদ্ধিতে পতন হয়ে দাঁড়িয়েছে ৬শতাংশে। ১৮৯২ সালের পর থেকে যা সবচেয়ে খারাপ। এর আহের ত্রৈমাসিকে বৃদ্ধির হার ছিল ৬.২ শতাংশ।
দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে নরেন্দ্র মোদী সরকার একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে কর্পোরেট কর কমানো। এছাড়া বন্ধ হয়ে যাওয়া আবাসন প্রকল্পগুলোকে চালু করার জন্য একটি তহবিল করতে ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। এর ফলে আশা করা হচ্ছে সিমেন্ট এবং স্টিল শিল্পকে চাঙ্গা করতে সাহায্য মন্ত্রিসভার এই সিদ্ধান্ত।