বিবিডেস্ক: জ্বালানি তেলের বিপণনের বড়োসড়ো সংস্কারের পথে হাঁটতে চলেছে কেন্দ্র। সৌদি আরবের দৈত্যাকার জ্বালানি বিপণনকারী সংস্থা সৌদি আরমকো, টোটাল বা ট্রাফিগুরার মতো সংস্থাকে কেন্দ্রীয় সরকার এ দেশের খুচরো বিপণন বাজারে প্রবেশের ছাড়পত্র দিতে পারে সূত্রের খবর। এই সংস্থাগুলি মূলত তথাকথিত পেট্রল পাম্পের বদলে সুপারমার্কেট, শপিংমলে খুচরো জ্বালানি তেল বিপণন করে।
বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, প্রায় দু-দশকের পুরনো পেট্রোল, ডিজেল অথবা জেট জ্বালানির বিপণন থেকে শুরু করে অনুসন্ধান, উৎপাদন, পরিশোধন অথবা পাইপলাইন প্রতিস্থাপনে ২,০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগকারী অথবা বিনিয়োগে আগ্রহীদের জন্য লাইসেন্সপ্রদানের পদ্ধতিতে পরিবর্তন নিয়ে আসতে চায়।
পরিবহন জ্বালানি বিপণনের লাইসেন্স দেওয়ার বিষয়ে ২০০২-এর গাইডলাইন পর্যালোচনা করার জন্য মার্চ মাসে গঠিত একটি অফিসিয়াল প্যানেলের বেশিরভাগ মূল প্রস্তাবনা গৃহীত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ওই প্রস্তাবগুলি নিয়ে অর্থ, বাণিজ্য ও আইন মন্ত্রকের সঙ্গে পরামর্শও করছে প্যানেল। গত মে মাসের শেষের দিকে সেই প্রতিবেদন জমা দিয়েছে প্যানেল।
প্যানেল লাইসেন্স পেতে আগ্রহীদের জন্য ন্যূনতম বিনিয়োগ তুলে দেওয়ার পক্ষেও সমর্থন জানিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি তেল উৎপাদক অথবা অনুৎপাদক সংস্থাগুলির লাইসেন্স শর্ত হিসাবে পেট্রোল পাম্প স্থাপনের জন্য কঠোর সময়সীমা আরোপ এবং রোলআউট পরিকল্পনা পূরণ না করার জন্য জরিমানার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
সরকারি আধিকারিকদের মতে, ন্যূনতম বিনিয়োগ-বিধিটি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য ভারতের ক্রমবর্ধমান জ্বালানি বাজারের একটি অংশ দখল করার লক্ষ্যে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। পেট্রল, ডিজেল এবং জেট জ্বালানির চাহিদা যথাক্রমে, ২০১৮-১৯ সালে ৮%, ৩% এবং ৯% বৃদ্ধি পেয়েছে।
স্বাভাবিক ভাবেই, লাইসেন্স প্রথার এই সংস্করণে সব থেকে আগে সুবিধা নিতে পারে সৌদি আমরকো, টোটাল অথবা ট্রাফিগুরার মতো সংস্থাগুলি। যদিও এ ধরনের কোনো সংস্থা এখনও পর্যন্ত লাইসেন্সের জন্য আবেদন জমা করেনি। সম্ভবত, লাইসেন্স নিয়ে নতুন সরকারি নিয়মের দিকেই তাকিয়ে রয়েছে সংস্থাগুলি।