গত আট মাস ধরে আইওসি (IOC), বিপিসিএল (BPCL) এবং এইচপিসিএল (HPCL) তেলের দাম স্থির রেখেছে। কলকাতায় আইওসি-র পাম্পে পেট্রলের লিটার (Petrol Price) ১০৬.০৩ টাকা, ডিজ়েল (Diesel Price) ৯২.৭৬ টাকা। অথচ সম্প্রতি বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেল ব্রেন্ট ক্রুড (Brent Crude) নেমেছিল ৮০ ডলারেরও নীচে। প্রশ্ন ওঠে, সেই সুবিধা ভারতে পৌঁছচ্ছে না কেন? এই প্রশ্নেরই উত্তর দিলেন কেন্দ্রীয় তেলমন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরী (Hardeep Singh Puri)। জানালেন, রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি পুরনো লোকসান পুষিয়ে নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সেই পদক্ষেপ করবে।
কবে কমবে দাম
সংস্থাগুলির সঙ্গে এক সুরে পুরী বলেন, ব্রেন্ট চড়া থাকাকালীন মূল্যবৃদ্ধিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে তেলের দাম বাড়ানো হয়নি। ফলে বিপুল লোকসান হয়েছে সংস্থাগুলির। তাই অশোধিত তেলের দাম কমার সময় ক্ষতিপূরণ হচ্ছে। পরে আমদানির খরচ কমায় তারা পেট্রলে মুনাফায় ফিরলেও ডিজ়েলে ক্ষতি বহাল ছিল। সংশ্লিষ্ট মহলের যুক্তি, বিশ্ব বাজারে দাম হালে ফের ৮-৯ ডলার বেড়েছে। ফলে আরও বাড়লে দেশে তেলের দাম কমানো সুযোগ বন্ধ হবে কি না, সেই আশঙ্কা থাকছেই। তেল মহল সূত্রেরও দাবি, এক সময় পেট্রলের লিটারে (Petrol Price) ১০ টাকা লাভ হচ্ছিল। কিন্তু বর্ধিত দামে তা অর্ধেক হয়েছে। ডিজ়েলে (Diesel Price) লোকসান হচ্ছিল ১০-১১ টাকা। চলতি মাসের গোড়ায় হয়েছে ১৩ টাকা।
কী বলছেন বিরোধীরা
তবে বিরোধীদের কটাক্ষ, দেশে তেলের দাম এখন কমে ভোটের সময়ের নিরিখে। সংশ্লিষ্ট মহল এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, এই বার্তা তাৎপর্যপূর্ণ। বিশেষত আগামী বছরই যেহেতু লোকসভা ভোট। চলতি বছরে বিধানসভা ভোট বেশ কিছু রাজ্যে। এ সবের প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে।
কী বলছেন মন্ত্রী
পুরী এ দিন বলেছেন, ‘‘আশা করব লোকসান বন্ধ হলেই দাম কমবে।’’ একই সঙ্গে তাঁর বার্তা, ‘‘আমরা ওদের (তেল সংস্থাগুলিকে) দাম স্থির রাখতে বলিনি। ওরা নিজেরাই তা করেছে।’’
পরিসংখ্যান বলছে, এর ফলে পেট্রলে লিটার পিছু ১৭.৪০ টাকা এবং ডিজ়েলে ২৭.৭ টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছিল, যা নজিরবিহীন।
আরও পড়ুন: পুরনো গাড়ি বাতিলে কর ছাড়, বাজেটের আগে বড়ো ঘোষণা কেন্দ্রের