শাসক-বিরোধী ‘একমত’! তবুও পেট্রোল, ডিজেলের দাম কমছে না কেন

তোলপাড় সংসদ হচ্ছে। আলোচনা চায় সব পক্ষই। তবুও অধরা আলোচনা। চড়চড় করে বাড়ছে জ্বালানির দাম!

বিবিডেস্ক: বিরোধীরা বলছে, এলপিজি সিলিন্ডারের দাম বৃদ্ধির জেরে সাধারণ মানুষের হেঁশেলে আগুন লেগেছে। সরকারি তরফে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নিজে মুখেই বলছেন, ক্রেতার জন্য “দাম কমানো উচিত”। পাশাপাশি “এটাকে একটা বোঝা” বলার মতো পরিস্থিতিও তৈরি হয়েছে। তবুও দাম কমছে না জ্বালানির!

আলোচনা চায় উভয়পক্ষই

লোকসভা এবং রাজ্যসভায়, বিরোধীরা গত সোমবারের মতো মঙ্গলবারেও পেট্রোল এবং ডিজেলের দামবৃদ্ধির ইস্যুতে উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে। কংগ্রেস-সহ অন্যান্য বিরোধী দলগুলিও পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম বাড়ার বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রকে আলোচনার দাবি জানিয়ে আসছে ধারাবাহিক ভাবে।

অন্যদিকে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান ভেঙ্কাইয়া নাইডু সোমবার জানিয়ে দেন, আগামী দিনে এই বিষয়ে আলোচনা হতে পারে, তবে এ ভাবে নয়।

ওই দিন রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খার্গে বলেন, “দেশের পেট্রোলের দাম ১০০ ছুঁইছুঁই। ডিজেলের দামও ৮০ টাকা ছাড়িয়েছে। রান্নার গ্যাসেরও দাম বাড়ছে। ২০১৪ সালের পর থেকে জ্বালানি গ্যাস ও তেলের উপর শুল্ক বসিয়ে অন্তত ২১ লক্ষ কোটি টাকা ঘরে তুলেছে কেন্দ্র। দাম বৃদ্ধির জেরে সাধারণের হেঁশেলে আগুন লেগেছে”।’‌

যা ঘটেছিল সোমবার

সোমবার দ্বিতীয় দফার বাজেট অধিবেশন শুরু হতেই পেট্রোপণ্যের দাম বৃদ্ধির ইস্যুতে সরকার পক্ষকে প্রশ্নবাণে বিঁধতে শুরু করেন বিরোধীরা। এলপিজি সিলিন্ডার ও পেট্রোলিয়ামের ক্রমবর্ধমান দাম নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে বিরোধীরা প্রচণ্ড হইচই সৃষ্টি করে। বিজেপির প্রাক্তন শরিক শিরোমণি অকালি দল (এসএডি) এবং শিবসেনা-সহ বিরোধী দলগুলি মুদ্রাস্ফীতি ইস্যুতে সরকারকে নিশানা করে।

বিষয়টি নিয়ে শোরগোল চরমে উঠতেই সভা মুলতুবি রাখার সিদ্ধান্ত নেন চেয়ারম্যান। বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে টানা পেট্রোল, ডিজেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে এদিন রাজ্যসভায় স্লোগান দিতে শুরু করেন কংগ্রেস সাংসদরা।

একটাই সমাধান জিএসটি?

সর্বকালীন সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছেছে পেট্রোল, ডিজেলের দাম। কোথাও কোথাও পেট্রোল পৌঁছেছে প্রতি লিটার ১০০ টাকার উপরে। বেশ কয়েকটি রাজ্য ইতিমধ্যেই নিজেদের ভাগের কর কমিয়েছে। তবে কেন্দ্রের তরফে এখনও পর্যন্ত তেমন কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।

এই মাসের সম্ভাব্য পরবর্তী সভায় কেন্দ্রীয় সরকার পেট্রোল ও ডিজেলকে জিএসটির আওতায় আনার প্রস্তাব গ্রহণ করবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীকারমন সাম্প্রতিক একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, “এ ধরনের প্রস্তাবের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জিএসটি কাউন্সিলের সভার কাছাকাছি সময়ে নেওয়া হবে”।

তিনি বলেন, জ্বালানিকে জিএসটির আওতায় আনার সিদ্ধান্তটি জিএসটি কাউন্সিলকেই নিতে হবে। তাঁর কথায়, “জিএসটি কাউন্সিল যখনই এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে, তখন তারা নিজেদের সুবিধার দিকগুলিও বিবেচনা করবে। তবে এ ব্যাপারে কাউন্সিলের তুলে ধরা হতে পারে”।

আরও পড়তে পারেন: আপনি কি শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করেন? ক্লায়েন্ট কোড, প্যান নিয়ে সেবির বড়োসড়ো সংস্কারের কথা জানুন

বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখেন ১০ থেকে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাংবাদিকরা। সমস্ত তথ্য যাচাই করে তবে বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.