দাম উঠতে পারে ন’হাজার কোটি! আয় বাড়াতে এ বার জমি বিক্রির পথে রাজ্য

কেন্দ্রের বিরুদ্ধে রয়েছে বকেয়া আটকে রাখার অভিযোগ। সঙ্গে রয়েছে রাজ্যের একাধিক ব্যয়বহুল সামাজিক প্রকল্প। বোঝার উপর শাকের আঁটির মতো রয়েছে বিপুল দেনা। এই সব কিছুকে মোকাবিলা করতে আয় বাড়ানোর চিন্তাভাবনা শুরু করল নবান্ন (Nabanna)। প্রথমিক ভাবে রাজ্যের হাতে থাকা জমি বিক্রি করে আয় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

দামি সরকারি জমি

রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বহু অব্যবহৃত সরকারি জমি রয়েছে। অবস্থানগত সুবিধার জন্য যেগুলির বেশ কয়েকটির দাম আকাশছোঁয়া। সেই সব জমি বিক্রি করে আয় বাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু করল নবান্ন। টানাটানির সংসারে আয় বাড়াতে দ্রুত সেই সব জমি বিক্রির ব্যাপারে পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে।

নবান্ন সূত্র জানিয়েছে, প্রশাসনিক মূল্যায়নের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) সব স্তরের অফিসারদের বুঝিয়ে দিয়েছেন, রাজস্ব বাড়ানোর পথ খুঁজতে হবে। এ ব্যাপারে পরিকল্পনা তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পরিবহণ, ভূমি-সহ বিভিন্ন দফতরকে। পরিকল্পনা চাওয়া হয়েছে জেলাশাসকদের কাছেও। তবে রাজ্যের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন (GSDP) এবং ঋণের অনুপাত স্বস্তিজনক বলেই দাবি প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের।

জমি বিক্রি কেন?

রাজ্য আয়ের বাড়তি উৎস খুঁজছে কেন? নবান্ন সূত্রে খবর, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বকেয়া আটকে রাখার অভিযোগ তো রয়েছেই। গত ডিসেম্বর থেকে একশো দিনের কাজ, আবাস ও সড়ক যোজনার টাকাও বন্ধ। এ দিকে লক্ষ্মীর ভান্ডার, পড়ুয়া ঋণ কার্ড, নতুন কৃষকবন্ধুর মতো প্রকল্প এনেছে রাজ্য, যা ব্যয়বহুল। ফলে বাড়তি আয় জরুরি। সূত্রের খবর, পরিবহণের সঙ্গে ভূমি দফতরকেও আয়ের উৎস খুঁজতে বলায় সরকারের জমি বিক্রির কথা উঠেছে। সূত্রের খবর, সরকারি যা অব্যবহৃত জমি আছে, তা বিক্রি করতে পারলে ন’হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত দাম উঠতে পারে। বৈঠকে মন্ত্রীদের একাংশের অভিযোগ, অবৈধ ইটভাটা ও বালি খাদানের কাজকর্মে রাজ্যের অন্তত ৩০% রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে। যদিও রাজ্য বালি খাদান নিয়ে পদক্ষেপ করেছে। সেগুলির নিয়ন্ত্রণও এক ছাতার তলায় আনা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে, এমন কাজকে প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না। কড়া নজর রাখতে হবে।

আরও পড়ুন: পণ্য পরিবহণে খুলছে নতুন দিগন্ত, রাজ্যে শুরু হতে চলেছে ড্রোন পরিষেবা

বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখেন ১০ থেকে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাংবাদিকরা। সমস্ত তথ্য যাচাই করে তবে বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.