বিবি ডেস্ক: দেশের নাগরিকদের কাছ থেকে কর আদায় করে সরকার। এই কর বিভিন্ন আকারে নেওয়া হয়। যেমন আয়কর, সম্পত্তি কর, বিদ্যুৎ কর, জল কর ইত্যাদি। তবে এমনও কিছু দেশ রয়েছে, যেখানে নাগরিকদের কর দিতে হয় না।
ভারতে একটি নির্দিষ্ট ঊর্ধ্বসীমার থেকে কারও বার্ষিক আয়ের পরিমাণ বেশি হলে, তাঁকে আয়কর দিতে হয়। তবে প্রত্যক্ষ কর নয়, পরোক্ষ কর দিতে হয়। এ সব করের টাকা দিয়ে সরকার দেশের সরকার নিজের কর্মচারীদের বেতন দেওয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ, ভর্তুকি ইত্যাদি কাজ করে থাকে। কর ছাড়া সরকার বা দেশ চালানো অসম্ভব।
সরকার চলে কী ভাবে?
কর ব্যবস্থা শুধু ভারতেই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন স্থানেও প্রযোজ্য। কিন্তু বিশ্বের এমন কিছু দেশ রয়েছে, যেখানে সরকার নাগরিকদের কাছ থেকে কর আদায় করে না। সে ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড়ো প্রশ্ন, সেই সব দেশের সরকার যদি নাগরিকদের কাছ থেকে ট্যাক্স নেয় না, তা হলে সরকার চলে কী ভাবে?
এ সব দেশ কর থেকে আয় না করে আমদানি শুল্কের ওপর নির্ভরশীল। যদি অন্য কোনো দেশ থেকে পণ্য আসে, তা হলে এই সব দেশ সেই পণ্যের ওপর অনেক শুল্ক নেয়। এ ছাড়া পর্যটন ও অপরিশোধিত তেল বিক্রি করেও প্রতি বছর বড়োসড়ো আয় করে। এই দেশগুলিতে ভ্রমণকারী ব্যক্তিদের প্রবেশ এবং প্রস্থানের জন্য কর দিতে হয়।
কোন কোন দেশে কর দিতে হয় না
পৃথিবীতে এমন অনেক দেশ আছে, যেখানে সরকার নিজের নাগরিকদের কাছ থেকে একটি টাকাও ট্যাক্স হিসেবে নেয় না। কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, সৌদি আরব, বাহরিন, কুয়েত, বারমুডা, ওমানের মতো দেশে নাগরিকদের কর দিতে হয় না। এই সব দেশ বিশ্বের ধনী দেশের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত।
সেলফ ওয়ার্কিং মডেল
এই দেশগুলো সেলফ ওয়ার্কিং মডেলে কাজ করে। অর্থাৎ তারা নিজেদের বিভাগীয় খরচ নিজেরাই বহন করে। উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে, এই দেশগুলিতে রেল চালানোর খরচ তারা ওই ক্ষেত্র থেকেই সংগ্রহ করে নেয়। অপারেশন চার্জ, কর্মচারীদের বেতন ইত্যাদি ব্যয়ের উৎস রেল থেকে আয়। এ জন্য সরকার নিজের ভাঁড়ার থেকে কোনো বাড়তি অর্থসাহায্য করে না।
আরও পড়ুন: প্যাকেটজাত পরোটা খেতে পছন্দ করেন? খরচ অনেকটাই বাড়তে চলেছে আপনার