২০২৩-২৪ আর্থিক বছরের কেন্দ্রীয় বাজেটে (Union Budget 2023-24) আয়কর কাঠামোয় একাধিক পরিবর্তন আনা হয়েছে। নতুন কর ব্যবস্থার (new tax regime) অধীনে, কর ছাড়ের সীমা বাড়িয়ে ৭ লক্ষ টাকা করা হয়েছে এবং এতে ৫০ হাজার টাকার স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এর পরোক্ষ প্রভাব পড়বে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের মধ্যেও।
আয়করের নিয়ম পরিবর্তনের উপর গভীর নজর রাখতে হয় স্টক মার্কেটে বিনিয়োগকারীদেরও। যাতে তাঁরা সেই অনুযায়ী নিজেদের পোর্টফোলিওগুলি সামঞ্জস্য করতে পারেন এবং নিয়মের কোনো পরিবর্তন হলে যে কোনো ধরনের জরিমানা এড়াতে পারেন।
প্রকৃতপক্ষে এ বারের বাজেটে এমন কোনো নতুন কর ঘোষণা করা হয়নি, যা আপনার ইক্যুইটি বিনিয়োগ, এফ অ্যান্ড ও ট্রেডিং এবং স্টক থেকে লাভকে সরাসরি প্রভাবিত করবে। তবে মূলধন লাভ কর (capital gains tax)-কে রিয়েল এস্টেট, সোনা এবং মার্কেটের সঙ্গে যুক্ত ডিবেঞ্চারের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে।
এই বাজেটে নতুন মূলধন লাভ কর প্রবর্তন নিয়ে উদ্বেগের অবসান ঘটিয়েছে সরকার। তবে ১ লক্ষ টাকার বেশি দীর্ঘমেয়াদী মূলধন লাভ করের ওপর কোনো ছাড় দেওয়া হয়নি। বর্তমানে, ১ লক্ষ টাকার বেশি দীর্ঘমেয়াদী মূলধন লাভের (long-term capital gains) উপর ১০ শতাংশ হারে কর দিতে হয়। অন্যদিকে, যদি বিনিয়োগকারীর স্বল্পমেয়াদী মূলধন লাভ (short-term capital gains) থাকে, তবে তার উপর ১৫ শতাংশ কর দিতে হবে।
২০২৩ সালের বাজেটে, সরকার নতুন আয়কর ব্যবস্থার অধীনে আয়কর স্ল্যাব পরিবর্তন করেছে। এর আওতায় নতুন আয়কর ব্যবস্থা অনুযায়ী, এখন থেকে ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ের উপর কোনো কর দিতে হবে না। ৩ থেকে ৬ লক্ষ টাকার স্ল্যাবে ৫ শতাংশ, ৬ থেকে ৯ লক্ষ স্ল্যাবে ১০ শতাংশ, ৯ থেকে ১২ লক্ষ স্ল্যাবে ১৫ শতাংশ, ১২ থেকে ১৫ লক্ষ স্ল্যাবে ২০ শতাংশ এবং ১৫ লক্ষ টাকার উপরে সর্বোচ্চ হারে ৩০ শতাংশ আয়কর দিতে হবে।
আরও পড়ুন: সেনসেক্স, নিফটি-তে আপাত স্বস্তি, জেল্লা আর্থিক শেয়ারে