বিবি ডেস্ক: করোনা মহামারির জেরে ধাক্কা খেয়েছিল গাড়িবাজার। তবে এখন আবার কেনাকাটা আগের পরিস্থিতিতে ফিরে এসেছে। চাহিদার কথা মাথায় রেখে চলতি বছরে বেশ কিছু নতুন মডেল বাজারে এনেছে বিভিন্ন সংস্থা। বেতনভোগী ও মধ্যবিত্তদের গাড়ি কেনার স্বপ্ন পূরণের জন্য ব্যাঙ্কের ঋণ একটি অন্যতম মাধ্যম।
ঋণ নেওয়ার সময় মাথায় রাখতে হবে
গাড়ির ঋণে সুদের হার গৃহঋণের চেয়ে বেশি। এ কারণে ঋণ শেষ হওয়ার পর ঋণগ্রহীতাদের কাছে গাড়ির প্রকৃত মূল্য প্রায় দেড় গুণ বেড়ে যায়। তাই এই ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে মোট খরচ-সহ বিভিন্ন বিষয় মাথায় রাখতে হয়।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ধরুন আপনি ৫ বছরের জন্য ১০ লক্ষ টাকা ঋণ নিলেন। সুদের হার ১০ শতাংশ। মাসিক কিস্তি বা ইএমআই দাঁড়াবে ২১ হাজার ২৪৭ টাকা। তা হলে পাঁচ বছরে আপনাকে শুধুমাত্র সুদ হিসেবে শোধ করতে হচ্ছে ২ লক্ষ ৭৪ হাজার ৮২৩ টাকা। অর্থাৎ, সুদে-আসলে শোধ করতে হচ্ছে ১২ লক্ষ ৭৪ হাজার ৮২৩ টাকা।
ফলে ঋণ নেওয়ার সময় আপনাকে অবশ্যই বিভিন্ন ব্যাঙ্কের সুদের হার বা অন্যান্য অফার তুলনা করতে হবে। তুলনামূলক ভাবে যেখানে ভালো অফার মিলবে, শুধুমাত্র সেই ব্যাঙ্ককেই বেছে নিন।
আরেকটা বিষয়, দীর্ঘমেয়াদি ঋণ আপনার আর্থিক স্বাস্থ্যের জন্য মোটেই ভালো নয়। ফলে ৩-৫ বছরের মেয়াদ বেছে নেওয়া যেতে পারে। অর্থাৎ, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ঋণ শেষ করার চেষ্টা করতে হবে। মেয়াদ বাড়লে সুদ হিসেবে বাড়তি টাকা গচ্চা যাবে।
কয়েকটি ব্যাঙ্কে গাড়ি ঋণে সুদের হার
স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া: ৮.৫০%
অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক: ১২.০০%
ব্যাঙ্ক অব বরোদা: ৮.৫০%+
কানাড়া ব্যাঙ্ক: ১০.৪০%
এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক: ৯.০০%
কোটাক ব্যাঙ্ক: ১১.৫%
পিএনবি: ৮.৫৫%+
অন্ধ্র ব্যাঙ্ক: ১০.৮০%+
ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া: ৯.৩৫%+
ফেডারেল ব্যাঙ্ক: ১১.৪৯%+
আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক: ৯.০০%+
ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্ক: ৯.২০%+
ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া: ৮.৯০% +
আরও পড়ুন: কর দিতে হয় না এই সব দেশে, তা হলে সরকার চলে কী ভাবে